আইসল্যান্ডে ঘুরতে যাওয়ার ৯ কারণ
সাম্প্রতিক সময়ে আইসল্যান্ডের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা৷ কারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও সেখানে দেখার আছে অনেক কিছু৷
কী নেই আইসল্যান্ডে!
পুরো দেশের এক চতুর্থাংশ জায়গা জুড়ে আছে আগ্নেয়গিরি, ১২ শতাংশ এলাকায় আছে গ্লেসিয়ার, মানে হিমবাহ৷ আছে ফিয়র্ড, আছে ভ্যালি৷ প্রায় এক শতাংশ জায়গায় গাছেরও দেখা পাওয়া যায়৷ এক দেশে এত কিছুর দেখা সাধারণত আর কোথাও পাওয়া যায় না৷
সক্রিয় আগ্নেয়গিরি
২০১০ সালে ছবির এই আগ্নেয়গিরির নাম বিশ্ব গণমাধ্যমের নজর কেড়েছিল৷ কারণ এর অগ্নুৎপাতের কারণে সেই সময় ইউরোপজুড়ে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছিল৷ আগ্নেয়গিরিটির নাম এইয়াফিয়াদলা বা এইয়াফিয়াদলাইয়োক্যুডল৷ আইসল্যান্ডে প্রায় ১৩০টির মতো আগ্নেয়গিরি আছে, যার মধ্যে ৩০টির মতো এখনও সক্রিয়৷
১২’শ ফুটবল মাঠের সমান
এটি আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বড় হিমবাহ৷ নাম ভাতনাইয়োক্যুডল৷ আকার প্রায় ১২’শটি ফুটবল মাঠের সমান৷ পর্যটকরা সেখানে যেতে পারেন৷ তবে অবশ্যই গাইড নিয়ে৷ কেননা যখন তখন বরফে ফাটল ধরে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে৷
জলপ্রপাত
হিমবাহের বরফ গলা পানি উপকূলের দিকে যাওয়ার সময় কোথাও কোথাও জলপ্রপাতের সৃষ্টি করেছে৷ ছবিতে ‘গুডলফস’ জলপ্রপাত দেখতে পাচ্ছেন, ইংরেজিতে যেটা ‘গোল্ডেন ওয়াটারফল’ নামে পরিচিত৷ কত বড়? তাহলে একটু খেয়াল করে ছবিটি দেখুন৷ বাম পাশে উপরের দিকে পর্যটকদের দেখতে পাচ্ছেন?
উষ্ণপ্রস্রবণ
প্রায় ৩০ মিটার উঁচু পানির এই স্তম্ভ স্থায়ী কিছু নয়৷ কয়েক মিনিট পরপর ভূমির নীচ থেকে এভাবে গরম পানি তেড়ে উপরে উঠে আসে৷ ছবির উষ্ণপ্রস্রবণটির নাম ‘স্ট্রকুর গিজার’৷ অবশ্য এররকম উষ্ণপ্রস্রবণ দেশটির অনেক জায়গাতেই আছে৷
হট স্প্রিং
‘ব্লু-লেগুন’ নামের এই জিওথার্মাল স্পা’য় গা ভেজালে নাকি কিছু ত্বক সমস্যা দূর হয়ে যায়৷ তাই পর্যটকদের সেখানে ভিড় লেগেই থাকে৷
রাজধানী শহর
বিশ্বের অন্যান্য শহরের মতো আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিকে গেলেও রেস্তোরাঁ, বার, নাইটক্লাব এ সবের দেখা পাওয়া যাবে৷ পুরো দেশের জনসংখ্যা মাত্র তিন লাখ ২০ হাজার৷ এর মধ্যে প্রায় দুই লক্ষ নাগরিকেরই বাস রেইকইয়াভিক ও তার আশেপাশের এলাকায়৷
পৌরাণিক জন্তু
ছবির এই পাথরটি দেখতে কি দৈত্যের মতো মনে হচ্ছে? আইসল্যান্ড জুড়ে যেমন এমন দৈত্যের দেখা পাওয়া যায়, তেমনি আছে পরী, আছে ক্ষুদ্রাকৃতির মানব৷ কোথায় তাদের দেখতে পাওয়া যাবে তার জন্য রীতিমতো ডিরেক্টরিও আছে৷
উদীচী উষা দেখা
ইংরেজিতে নর্দার্ন লাইটস আর বাংলায় মেরুজ্যোতি বা সুমেরু প্রভা নামেও ডাকা হয়৷ এটি আসলে রাতের আকাশে আলোর এক ধরনের খেলা৷ অক্টোবরের শুরু থেকে মার্চের শেষ সময়ের মধ্যে আইসল্যান্ডে গেলে অপরূপ এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়৷ গ্রীষ্মের সময় আইসল্যান্ডে কখনও পুরোপুরি অন্ধকার নামে না৷ আর শীতের সময় কখনও পুরোপুরি আলোর দেখা পাওয়া যায় না৷