চকলেটের যত ব্যবহার
চকলেট যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে পড়ে না, তা সকলেই জানি৷ তবে চকলেট মন ভালো করে তাৎক্ষণিভাবে মস্তিষ্কে শক্তি যোগায়, সেকথাও অনেকেরই জানা৷ তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে চকলেট স্বাস্থ্যকরও বটে!
ডার্ক চকলেট অস্বাস্থ্যকর নয়
স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই চকলেট খাওয়াকে ছোটখাটো অপরাধ বলে মনে করেন৷ কখনও খেলেও কেমন যেন এক অপরাধবোধ নিয়ে খান৷ যদিও ডার্ক চকলেট যতটা খারাপ বা অস্বাস্থ্যকর মনে করা হয় ততটা নয়, বরং তার চেয়ে অনেকটাই স্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷
কোকোর পরিমাণ
দুধ চকলেটে সাধারণত শতকরা ২৫ ভাগ কোকো থাকে আর ডার্ক চকলেটে থাকে শতকরা ৭০ ভাগ বা তার বেশি৷ অর্থাৎ ডার্ক চকলেটে কোকোর পরিমাণ যত বেশি হয়, চকলেট তত বেশি স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে, বলছেন বিজ্ঞানীরা৷
কোকো সুপার ফ্রুট
কোকো সুপার ফ্রুটের দলে পড়ে৷ কোকোতে রয়েছে পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড, যা জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে শরীরকে তরুণ রাখতে সহায়তা করে থাকে৷
মানসিক চাপ কমায়
এক টুকরো চকলেট তাৎক্ষণিকভাবে ক্লান্তি দূর করে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়৷
স্ট্রেস হরমোন উৎপাদন দমন করে
কোকোয় থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড স্ট্রেস হরমোন উৎপাদন দমন করে এবং মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে মনোযোগ বাড়িয়ে দেয়৷
ক্ষুধাভাব কমায়
বেশি কোকোর পরিমাণ অর্থাৎ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রায় সমতা এনে অতিরিক্ত ক্ষুধাভাব কমায়৷ তবে চকলেটে অতিরিক্ত চিনি থাকলে কিন্তু তার উলটোটা ঘটতে পারে৷
চকলেট হতে পারে কাশির ওষুধ
কোডিন থাকা কাশির সিরাপের চেয়ে চকলেটে কাশির রোগীদের বেশি উপকার হয় বলে মনে করেন হাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ কারণ চকলেটের থিওব্রোমিন কাশি রিফ্লেক্সে কাশির ওষুধে থাকা ড্রাগ পদার্থের মতোই কাজ করে৷ তাছাড়া খুব ধীরে ধীরে খেলে গলায় আরামবোধ হয় বলে মনে করেন তাঁরা৷ তবে এখানে কিন্তু অর্গানিক চকলেটের কথা বলা হয়েছে৷
পরিমিতিবোধ থাকা জরুরি
চকলেট এমন এক খাবার, যা তৃপ্তি এনে দিতে পারে৷ তবে চকলেট কিন্তু কখনোই পেট ভরানোর জন্য নয়৷ অর্থাৎ চকলেট খাওয়ার সময় মনে রাখতে হবে, চকলেট সাময়িকভাবে ক্লান্তি দূর করে শরীরে ও মনে একধরনের ভালো লাগা এনে দেবে৷ এক্ষেত্রে অবশ্যই পরিমিতিবোধ থাকা জরুরি৷
রূপচর্চায় চকলেট
সৌন্দর্যচর্চায় শরীরে তরল চকলেট মাখার ব্যবস্থা রয়েছে ‘ওয়েলনেস চকলেট ম্যাসাজ’ নামে৷ তাছাড়া এমন চকলেট রয়েছে, যা মেদ কমিয়ে শরীরে ও মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি এনে দেয়৷ একথা জানান জার্মান রূপচর্চা বিশেষজ্ঞ ও মেক আপ শিল্পী কের্স্টিন স্টেগার্ট৷