জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় আইফেল টাওয়ারকে ঘিরে কর্মযজ্ঞ

১,০৬৩ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের অন্যতম প্রতীক৷ সম্ভাব্য জঙ্গি আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এর চারপাশে বেষ্টনি দেওয়ার জোরদার কাজ চলছে৷ মোটা বুলেট প্রুফ কাঁচ দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে চারপাশ৷

বুলেটপ্রুফ কাঁচ ৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার মোটা৷ টাওয়ারের অন্তত দু’দিকে এই কাঁচের বেড়া দেওয়া হবে– নদীর দিকের ব্রঁলি বুলেভার্ড এবং অ্যাভিনিউ গুস্তাভ আইফেল৷ এই বেষ্টনিই টাওয়ারটিকে একটি পার্ক থেকে আলাদা করছে৷

টাওয়ারের দুই দিক বাঁকানো ধাতুর কাঁটা দিয়ে বেড়া দেওয়া হচ্ছে৷ এই বেড়া ৩ দশমিক ২৪ মিটার উঁচু৷ .

একসময় পর্যটকরা কোনও বাধা ছাড়াই সরাসরি এই অত্যাশ্চর্য আইফেল টাওয়ারের কাছে পৌঁছাতে পারতো৷ কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে এসব ব্যাপারে ফ্রান্স এখন খুবই কঠোর৷ লাগাতার জঙ্গি হামলার ফলে ২৪০ জন মানুষ মারা গিয়েছেন ফ্রান্সে৷ তাই এই কঠোর নিরাপত্তা৷

৩৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি সুরক্ষা প্রকল্পের অংশ হিসেবেই আইফেল টাওয়ারের একপাশের এই বুলেট প্রুফ কাঁচের বেড়ার কাজ চলছে৷

নতুন বেড়ার যে কাজ চলছে, তাতে রীতিমতো নজরদারিও চলছে৷ নিরাপত্তা বাহিনী টাওয়ার এবং সংলগ্ন এলাকা সর্বদাই পাহারা দিয়ে চলেছে৷ টাওয়ারের নিচের আঙিনাকে ২০১৬ থেকে সাময়িক বেড়া দিয়ে সুরক্ষিত রাখার কাজ চলেছে৷

অত্যুৎসাহী পর্যটকদের নিয়েই ভয়! তাঁদের উৎসাহ যেন কখনোই এই অত্যাশ্চর্য আইফেল টাওয়ারের প্রাচীরকে ক্ষতবিক্ষত না করে! এমনিতে সবসময়ই প্রচুর ভিড়ের চাপ সামলাতে হয় এই এলাকাকে৷ এই ২০১৮তে মোট ৭ মিলিয়ন পর্যটক আইফেল টাওয়ার দেখবেন৷

আশা করা যায়, নিরাপত্তারক্ষীদের এই প্রাচীর গঠনের কাজ জুলাইয়ের মাঝখানে শেষ হবে৷ ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে আইফেল টাওয়ার পুনর্গঠনের জন্য প্রকল্পের অংশ এটি৷ ২০২৪ সালে প্যারিসে আয়োজিত অলিম্পিকের সময় আশা করা যায় বেশিরভাগ কাজেই শেষ হয়ে যাবে৷

গুস্তাভ আইফেলের নাম অনুসারে দেওয়া হয়েছে এই টাওয়ারের নাম ১৮৮৭-৮৯ সালে তাঁরই কোম্পানি এই টাওয়ারের নকশা করে এবং তৈরি করে৷ ফরাসী বিপ্লবের ১০০ তম বার্ষিকী চিহ্নিত করে এই আইফেল টাওয়ার৷