জনপ্রিয় ছবির এই জায়গাগুলো এখন পর্যটন কেন্দ্র
অনেকেই তাদের পর্যটন তালিকায় সেই জায়গাগুলোকে রাখেন, যেখানে তার প্রিয় হলিউড তারকা শ্যুটিং করেছিলেন৷ আর এ কারণে এই স্থানগুলোতে পর্যটকদের প্রচুর ভিড় হয়,স্থানগুলো নিয়ে ব্যবসাও চলছে ভালো৷ ছবিঘরে থাকছে এমন কয়েকটি গন্তব্যের কথা৷
দ্য বিচ
‘দ্য বিচ’ মুভিতে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও মার্কিন শিক্ষার্থী রিচার্ড ফিশারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন৷ ফিশার থাইল্যান্ডের এক কিংবদন্তি সৈকতের খোঁজ করে৷ ২০০০ সালে চলচ্চিত্রটি কো ফি ফি দ্বীপের মায়া সৈকতে চিত্রায়িত হয়েছিল, ২০০৪ সালে যেটিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়৷ এই সৈকতে এখন পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে৷
আভাতার
২০০৯ সালে জেমস ক্যামেরন বাস্তব আর পরাবাস্তব জগতের যে সম্মিলন ঘটিয়েছেন তা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে৷ প্যান্ডোরার প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো উত্তর চীনের ঝাংজিয়াঝি জাতীয় উদ্যানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা৷ পর্টকদের টানতে সেখানকার একটি পাহাড়ি চূড়ার নামকরণ করা হয়েছে ‘আভাতার হালেলুয়া পর্বত’৷
হ্যারি পটার
এই দৃশ্য দেখেই আপনাদের নিশ্চয়ই মনে পড়ছে হ্যারি পটার মুভিতে ‘হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস’ এমনই এক জায়গা দিয়ে যেতো৷ তবে আপনি যদি স্কটিশ এই পাহাড়ি এলাকায় জ্যাকোবাইট বাষ্প ট্রেনে চড়েন তাহলে কম রোমাঞ্চ হবে না! মনে হবে যেন হগওয়ার্টস ট্রেনে করেই চলেছেন আপনি৷
লোকাল হিরো
১৯৯৯ সালে ‘লোকাল হিরো’-কে সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র ঘোষণা করেছিল বিখ্যাত ব্রিটিশ চলচ্চিত্র ইনস্টিটিউট৷ ১৯৮৩ সালের ঐ কমেডি মুভিতে স্কটল্যান্ডের এই জায়গাগুলো দেখানো হয়েছিল৷ সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য ও স্থানীয় মানুষ সবাইকে আকৃষ্ট করেছিল৷ বর্তমানে উপকূলীয় গ্রাম পেনান বিশ্ব বিখ্যাত৷
লর্ড অফ দ্য রিংগস
নিজের দেশ নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানকে ‘লর্ড অফ দ্য রিংগস’-এর জন্য একদম যথার্থ বলে ঠিক করেছিলেন পরিচালক পিটার জ্যাকসন৷ আর তার সেই সিদ্ধান্ত একেবারেই বৃথা যায়নি৷ বর্তমানে চলচ্চিত্র প্রেমীদের কাছে দেশটি তীর্থস্থানের মতো৷ এই ছবিটি পুকাকি লেকের৷
আউট অফ আফ্রিকা
চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং হয়েছিল কেনিয়ায়৷ ড্যানিশ ব্যারোন তানিয়া ব্লিক্সেন ঔপোনেবেশিক যুগ শেষের পর কফি উৎপাদন শুরু করেছিলেন সেখানে এবং স্থানীয় এক শিকারী ফিঞ্চ-হ্যাটনের প্রেমে পড়েন৷ রিফ্ট উপত্যকার উপর দিয়ে তাদের ওড়ার দৃশ্যটি সবার নজর কাড়ে৷ আশির দশক থেকে কেনিয়ায় এই চলচ্চিত্রের কারণে সাফারি চালু হয় যা আজও চলছে৷
লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া
১৯৬২ সালে ডেভিড লিন-এর অসাধারণ এই চলচ্চিত্রটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পিটার ও’টুলে৷ এর কিছুটা অংশ জর্ডানের ওয়াদি রাম এ শ্যুটিং হয়েছিল৷ যেখানে ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স ১৯১৭ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত অবস্থান করছিলেন৷ ১৯৬৩ সালে সাতটি ক্যাটাগরিতে অস্কার এবং চারটিতে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতেছিল সিনেমাটি৷
স্টার ওয়ার্স
‘ইন্ডিয়ানা জোনস’ ‘দ্য ইংলিশ পেশেন্ট’ ছাড়াও অনেক চলচ্চিত্রে টিউনিশিয়ার ব্যারেন মরুভূমিটি দেখানো হয়েছে৷ কিন্তু জর্জ লুকাসের ‘স্টার ওয়ার্স’-এর মাধ্যমে এটি বিখ্যাত হয়েছে৷ আর ১৯৯৫ সাল থেকে নায়ক লিউক স্কাইওয়াকারের গ্রামের বাড়ি ‘নেফটা’ হয়ে উঠেছে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ৷
স্টেজ কোচ
যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ রাজ্যের এই উপত্যকাটি অনেক ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে৷ আর এর সাথে জন ওয়েইনি নামটি ওতোপ্রতভাবে জড়িত৷ নির্মাতা জন ফোর্ড ১৯৩৯ সালে এই অভিনেতাকে নিয়ে ‘স্টেজ কোচ’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন৷
হাইডি
হাইডি সম্ভবত বিশ্বে সবচেয়ে বিখ্যাত সুইস ব্যক্তিত্ব: ছোট্ট মেয়ে হাইডি আল্পসের পাদদেশে তার প্রিয় বাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী ভাবে চলে গিয়েছিল ফ্রাংকফুর্টে৷ ২০১৫ সালে ইয়োহানা স্পাইরির ছোটদের এই বইটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছিল৷ ২০ বছর আগে সেখানে হাইডিল্যান্ড হলিডে এলাকা গড়ে উঠেছে, আর সেটা এখন হাইডি পর্যটন এলাকা হিসেবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে৷