জাপানে হাজার হাজার ‘ভালোবাসা হোটেল’
চাইলে দু-এক ঘণ্টাও থাকা যায় সেই হোটেলে৷ থাকা যায় মহা আরামে, ভীষণ রোম্যান্টিক পরিবেশে৷ তাই ছেলে-বুড়ো সবাই যেতে চান ‘লাভ হোটেলে’৷ ছবিঘরে থাকছে জাপান জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমন ভালোবাসার হোটেলের কথা....
এখন আর নিষিদ্ধ নয়...
এক সময় জাপানে সস্তা এমন অনেক হোটেল ছিল, যেখানে বারবনিতারা তাঁদের খদ্দেরের সঙ্গে সময় কাটাতেন৷ তবে সময় পাল্টেছে৷ নাগরিক জীবনে এসেছে নতুন নতুন সংকট৷ সাধারণ মানুষের কয়েক রুমের ছোট ছোট ঘরে পারিবারিক জীবন হয়ে পড়েছে একঘেঁয়ে৷ তাই অনেকেই প্রেমিকা বা স্ত্রীকে নিয়েও যাচ্ছেন ‘লাভ হোটেল’-এ৷
ছোট ছোট ভালো বাসা
হোটেলগুলোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্যই হলো গোপনীয়তা এবং আধুনিক সুব্যবস্থা৷ ফলে যে বয়সের মানুষই প্রিয়জনকে নিয়ে নিজের মতো করে সময় কাটাতে চান, ‘লাভ হোটেল’ তাঁদের সাদর আপ্যায়নের জন্য সদা প্রস্তুত৷
হরেক রকমের ‘লাভ হোটেল’
সব ধরনের মানুষের জন্যই সুব্যবস্থা থাকে এমন হোটেলে৷ থাকে স্বপ্নের ভেলায় ভেসে বেড়ানোর ব্যবস্থা৷ তাই কোনো হোটেলের বিছানা বক্সিং রিংয়ের মতো, কোনোটাতে শুয়ে মনে হবে নাগরদোলায় চড়েছেন, আবার কোনো বিছানায় শোয়ার পরই ছাদ সরে গিয়ে উন্মুক্ত করে দেবে আকাশ, শুয়ে শুয়ে এবার রূপোলি চাঁদ আর ঝিকিমিকি তারা দেখুন.....৷
সেক্সফান...
জাপানে লাভ হোটেলের প্রকৃত সংখ্যাটা যে ২৫ হাজারের বেশি সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷এক সমীক্ষা বলছে, জাপানের অন্তত ২ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন লাভ হোটেলে যান৷ প্রধান আকর্ষণ নিঃসন্দেহে রোম্যান্টিক পরিবেশে যৌনতার হাতছানি৷ লবিতে গেলেই পাওয়া যাবে প্রত্যেকটি কক্ষের ছবি ও বিবরণ৷ পছন্দ করে বোতাম টিপে নিজেই ঢুকে পড়ুন৷ ভেতরে আছে অটোম্যাট৷ বোতাম টিপলেই চলে আসবে স্ন্যাকস, ড্রিঙ্কস বা সেক্স টয়...৷
টুরিস্টদের ভিড়
‘লাভ হোটেল’-এর আকর্ষণে জাপানে টুরিস্টদের ভিড়ও বেড়েছে৷বিভিন্ন শহরে প্রায়ই হোটেলের সামনে থামতে দেখা চীন থেকে যাত্রী বোঝাই করে আসা বাস৷ অনেক পরিবার শিশুদের নিয়েও চলে আসে ‘ভালোবাসা হোটেল’-এ ভালোবাসাময় কিছু সময় কাটাতে৷ এমন পরিবারের জন্য সঙ্গে সঙ্গেই ডাবল বিছানা জোড়া লাগানো হয়, করা হয় সেক্স টয় দূরে সরানোর ব্যবস্থা৷ এমন হোটেল রুমের প্রতি রাতের ভাড়া মাত্র ২৬ দশমিক ২২ ইউরো বা ৩১ ইউরোর মতো৷