জার্মানির রোম্যান্টিক রোড
মাইন নদী থেকে আল্পস পর্বতমালা অবধি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ: দুর্গ, প্রাসাদ, গির্জা, মঠ, সুন্দর সুন্দর শহর আর অপরূপ প্রকৃতি৷ বছরে দশ লক্ষ পর্যটক যা দেখতে আসেন৷
ভ্যুরৎসবুর্গ দিয়ে শুরু!
ভ্যুরৎসবুর্গের প্রিন্স-বিশপদের এই ব্যারোক শৈলীর প্রাসাদটি বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে৷ ঠিক এখান থেকেই রোম্যান্টিক রোডের শুরু৷ মাইন নদীর তীরে ঐতিহাসিক শহর আর চারদিকের পাহাড়ে আঙুরক্ষেত মিলে এক অপূর্ব পরিবেশ৷
যেন পটে আঁকা ছবি: রোটেনবুর্গ
টুরিস্টদের কাছে একটি আদর্শ জার্মান শহর৷ পুরনো জার্মানি বলতে বিদেশিরা যা কিছু ভাবেন বা বোঝেন, তার সব কিছুই পাওয়া যাবে এই রোটেনবুর্গ শহরে৷
বৃত্তাকার শহর ন্যোর্ডলিংগেন
ন্যোর্ডলিংগেনের নগর প্রাকারের দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটারের বেশি, এছাড়া গোটা জার্মানিতে একমাত্র এই নগর প্রাকার ধরেই শহরের পুরনো অংশটা পুরোপুরি চক্কর দেওয়া যায়৷ প্রাকারে পাঁচটি তোরণ বসানো আছে, এছাড়া তথাকথিত টিম্বার ফ্রেমিং-এরও কোনো অভাব নেই৷
নাট্যকার ব্যার্টোল্ট ব্রেশ্ট-এর জন্মের শহর আউগসবুর্গ
আউগসবুর্গের ট্রেডমার্ক হলো পেঁয়াজের আকৃতির গম্বুজে সাজানো পৌর ভবন৷ পৌর ভবনের ভিতরে আছে ‘গোল্ডেন হল’: সব কিছুই আউগসবুর্গের নাগরিকদের এককালীন ক্ষমতা ও সমৃদ্ধির পরিচয় বহন করছে৷
ফুগেরাই, বিশ্বের প্রাচীনতম দুঃস্থ আবাসন
ফুগার-রা ছিলেন আউগসবুর্গের সবচেয়ে ধনি বণিক তথা মহাজন পরিবার৷ তাঁরা সম্রাটকে যুদ্ধ চালানোর টাকা ধার দিতেন৷ অপরদিকে এই ফুগাররাই বিশ্বের প্রাচীনতম দুঃস্থ আবাসন সৃষ্টি করেন৷ সালটা ছিল ১৫২১, বাড়িভাড়া ছিল এক গুল্ডেন৷ মজার কথা, আজও তাই আছে, অর্থাৎ আজকের ভাড়াও ৮৮ সেন্ট!
রকোকো শৈলীর গির্জে
বাভারিয়ার ফাফেনভিঙ্কেল এলাকায় বহু সুন্দর সুন্দর গির্জা আছে৷ ভিজকির্শে বা মেঠো গির্জের বিশেষত্ব হলো, ১৭৩৮ সালে নাকি এখানকার কাঠের মূর্তির চোখ থেকে অশ্রু ঝরেছিল৷ সেই থেকে তীর্থযাত্রীদের স্রোত, যে কারণে আরো বড় একটি গির্জে তৈরি করতে হয়৷ সেই রকোকো গির্জাটি আজ ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার৷
নয়শোয়ানস্টাইন ক্যাসল
রোম্যান্টিক বলতে শুধু হৃদয়াবেগ নয়, রোম্যান্টিক বলতে সাহিত্য-শিল্পকলার একটি ধারাকেও বোঝায়৷ সেই ধারার সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন হলো বাভারিয়ার রাজা দ্বিতীয় লুডভিশ-এর নির্দেশে তৈরি নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গ৷ দুর্গটি তৈরি করা হয় দেড়’শ বছর আগে, কিন্তু সে আমলের রোম্যান্টিক প্রবণতা অনুযায়ী মধ্যযুগের নাইটদের দুর্গগুলির অনুকরণে৷ বছরে ১৫ লক্ষ পর্যটক আসেন জার্মানি রোম্যান্টিক রোডের এই চূড়ান্ত অ্যাট্র্যাকশনটিকে দেখতে৷