জার্মানি জুড়ে বন্যা
জার্মানির বেশিরভাগ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গেছে৷ বন্যার পানি যাতে লোকালয়ে প্রবেশ না করে, সেজন্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ৷ তবে এ পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি৷
বাড়ছে এবং বেড়েই চলেছে
বন্যার ফলে ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে পানি কতটা বাড়ছে সেদিকে নজর রাখছেন কর্তৃপক্ষ৷ আল্পসের বরফ গলার কারণে নদীর পানি বেড়ে চলেছে এবং তার আপাতত কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷
সেতুগুলো বিপদসংকুল
নিরাপত্তার স্বার্থে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে, কেননা, সেতুগুলো অতিক্রম করার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না৷ এছাড়া কর্তৃপক্ষ চাইছে যাতে নদীতে কম ঢেউ হয়, যাতে নদীর কূল প্লাবিত না হয়৷
ভেজা অবস্থায় পিচ্ছিল
বন্যার পানি প্রবেশ করে বেশ কিছু রাস্তা পিচ্ছিল করে তুলেছে৷ পুরো দেশের রাস্তাঘাটের উপর নজর রাখা হচ্ছে৷ কোনো রাস্তা অনিরাপদ মনে হলে তা বন্ধ করে দেয়া হবে৷
কর্দমাক্ত পানি
বেশিরভাগ আবাসিক এলাকায় এখনও বন্যার পানি প্রবেশ করেনি৷ তারপরও বেশ কয়েকটি শহরের কেন্দ্রস্থল, বিশেষ করে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো যেহেতু নদী তীরে অবস্থিত, তাই সেই এলাকাগুলো আপাতত বন্ধ করে দেয়া হতে পারে৷
প্রবল বন্যা
নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত এলাকাগুলোতে আবর্জনা এসে জমছে৷ এর ফলে ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা বাড়ছে৷ ব্ল্যাক ফরেস্টের এই গ্রামের বেশ কিছু এলাকা সাধারণের চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে, যাতে পানি চলে যাওয়ার পর এটি পরিষ্কার করতে সুবিধা হয়৷
পানির গভীরতা
ক্রিসমাসের ছুটি শেষ৷ তাই শিশুদের স্কুল খুলে গেছে৷ আর স্কুল মানেই বাইরে খেলাধুলাসহ নানা কর্মকাণ্ড৷ বাভেরিয়ার ভ্যোরনিৎস ফুটবল মাঠ এমন ভাবে প্লাবিত হয়েছে যে এটাতে আবার নতুন করে ঘাস লাগাতে হবে৷
প্লাবিত শহর
কিছু শহর আছে, যেগুলোতে প্রায়ই বন্যা হয়, আর এ কারণে আগে থেকেই সেগুলোর নদীর তীরে বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল এবং স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল৷ ড্যুসেলডর্ফে নদীর পাশের রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ সেখানে জাহাজ চলাচল বন্ধ আছে৷