ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ শুরু দেশ জুড়ে
১৮ জানুয়ারি ২০২১দুই দিন বাদেই ওয়াশিংটনে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তার আগে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করলেন ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। রোববার অ্যামেরিকার বেশ কিছু রাজ্যে তাঁরা প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, রোববারে সকলেই মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। কোথাও কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে কোনো কোনো অঞ্চলে প্রতিবাদীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সমর্থকদেরও রাস্তায় দেখা গিয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।
মার্কিন ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড আগে থেকেই ৫০টি রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। গত সপ্তাহে এফবিআই যে রিপোর্ট দিয়েছিল প্রশাসনকে, তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের আগে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। শুধু তাই নয়, ক্যাপিটলের মতো ফের বড়সড় কাণ্ড ঘটাতে পারেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালিয়েছিল ট্রাম্প সমর্থকরা। চারজনের মৃত্যুও হয়েছিল। ওই দিনের ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। তারপরেই দেশ জুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানীতে এবং ওয়াশিংটনে তাঁরা পাহারার দায়িত্ব নিয়েছেন। বেশ কিছু এলাকায় তাঁরা ফ্ল্যাগ মার্চ করেছেন।
ট্রাম্প সমর্থকদের এখনো দাবি, নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন। কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গোটা দেশের একাধিক আদালতে মামলা হয়েছিল। কিন্তু কোথাও কোনো তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি ট্রাম্প সমর্থকরা। তা সত্ত্বেও তাঁরা প্রতিবাদ বজায় রেখেছেন। রোববার ওহিয়ো, সাউথ ক্যারোলিনা, টেক্সাস এবং মিশিগানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভকারীদের হাতে অস্ত্র ছিল। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, চরমপন্থি গোষ্ঠী বুগালুর সদস্যদের কোনো কোনো মিছিলে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তাদের হাতে অটোমেটিক রাইফেল ছিল। এই গোষ্ঠী অ্যামেরিকার আরো একটি গৃহযুদ্ধ ঘটিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করতে চায়।
রোববার থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড ধরপাকড়ও শুরু করেছে। বেশ কিছু চরমপন্থি গোষ্ঠীর সদস্যদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। বাইরে বেরলেই তাদের গ্রেফতার করা হবে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলি বিক্ষোভ কর্মসূচি বাতিল করেছে বলেও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।
অন্য দিকে ওয়াশিংটনকে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাতে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা না হয়, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)