ঢাকা চিড়িয়াখানার হালচাল
ঢাকা শহরের নানা দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম জাতীয় চিড়িয়াখানা৷ ৫৮ বছরের পুরোনো এই চিড়িয়াখানায় বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে৷ তবে চিড়িয়াখানার সার্বিক পরিস্থিতি কেমন? দেখে নিন ছবিঘরে...
উপচে পড়া ভিড়
এমনিতে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা খুবই কম৷ তবে ছুটির দিনগুলোতে চিড়িয়াখানায় বেশ উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়৷ ঈদের সময়টাতেও বেশ ভিড় থাকে৷
বাড়ছে টিকেটের দাম
আগামী জুলাই মাস থেকে ৩০ টাকার টিকেটের দাম ৫০ টাকা করার সুপারিশ জানিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান চিড়িয়াখানার তথ্য কর্মকর্তা মো. ওয়ালিউর রহমান৷ অনুমোদন পেলেই জুলাই থেকে দাম বাড়বে৷ তবে দর্শনার্থীদের অনেকেই মনে করেন, টিকেটের দাম ৩০ টাকাই রাখা উচিত৷
চিত্রা হরিণের অভয়ারণ্য
চিড়িয়াখানার মূল ফটক থেকে একটু এগোলে হাতের বাম পাশেই খোলা মাঠে অনেক চিত্রা হরিণ৷ উৎসুক দর্শনার্থীরা ভীড় করে দাঁড়িয়ে দেখছে৷ এই প্রজাতির হরিণ শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ভারতের সুন্দরবনেই পাওয়া যায় এবং চিড়িয়াখানার ভেতরেই এর প্রজনন হয়৷ বর্তমানে এখানে প্রায় দুই শতাধিক চিত্রা হরিণ রয়েছে৷
পাখির আবাসস্থলে দুর্গন্ধ
গ্রেটার ফ্লেমিংকো, বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রাখা হয়েছে কাঁটাতারের বেষ্টনি দেয়া বিশাল খাঁচায়৷ তবে ময়লা ও দুর্গন্ধময় হওয়ায় সেখানে দর্শনার্থীরা বেশিক্ষণ থাকতে পারছেন না৷
খাবারে অনিহা সিংহের!
সিংহের খাঁচার সামনে গিয়ে দেখা গেল খাবার না খেয়ে নির্জীব পড়ে আছে প্রাণিগুলো৷ চিড়িয়াখানায় তিনটি খাঁচায় পাঁচটি ভারতীয় সিংহ রয়েছে৷সিংহগুলোর পাশেই মাংস দেওয়া আছে, কিন্তু ওরা খাবার খাচ্ছে না৷ দর্শনার্থীদের কোলাহলে একটু পরপর তারা চোখ খুলে তাকাচ্ছে আবার চোখ বন্ধ করে ফেলছে৷
খালি খাঁচা
চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, ভালুকসহ মাংসাশী প্রাণীর বেশ কয়েকটি খাঁচা খালি৷ নিরাপত্তাকর্মী কামরুজ্জামান দাবি করলেন, সব পশুই আছে, কিছু পশুকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে৷ তবে পশু সরানোর কারণ তিনি জানাতে পারেননি৷
রয়েল বেঙ্গল টাইগার
দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার৷ কিন্তু বাঘ কেন যেন বড় বেশি নির্জীব৷ দর্শকরা উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করে ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন৷
নিস্তেজ এশিয়াটিক কালো ভাল্লুক
জাতীয় চিড়িয়াখানায় থাকা ১১টি মাংসাশী প্রজাতির প্রাণির একটি এই কালো ভাল্লুক৷ এই ভাল্লুকও তখন ঘুমন্ত, নিস্তেজ৷ তথ্য কর্মকর্তা ওয়ালিউর বললেন, মাংসাশী প্রাণিরা দিনের মধ্যে মাত্র ৪/৫ ঘণ্টা জেগে থাকে আর বাকি সময় ঘুমায়৷
খাবার দিচ্ছে দর্শনার্থীরা!
চিড়িয়াখানার প্রাণীদের খাবার দেওয়া নিষেধ৷ কিন্তু এমু পাখির খাঁচার সামনে দর্শনার্থীদের ভিড় একটু বেশিই ছিল৷ পপকর্ণের প্যাকেট কিনে একটি-দু’টি করে পাখিদের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন তারা৷ পাখিরাও পপকর্ন খেতে এগিয়ে এসেছিল৷
শিশুদের প্রাণচাঞ্চল্য
চিড়িয়াখানার ভেতরেই শিশুদের খেলার জন্য রয়েছে ‘শিশুপার্ক’৷ দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকেই চিড়িয়াখানা দেখা শেষ করে শিশুদের নিয়ে সময় কাটান এই পার্কে৷
নিরাপত্তা বেষ্টনিতে শিশু!
চিড়িয়াখানার খাঁচাগুলোতে থাকা সাইনবোর্ডে স্পষ্ট করেই নিরাপত্তা দেয়াল অতিক্রম না করার কথা লেখা৷ কিন্তু অনেকেই নিরাপত্তা দেয়াল অতিক্রম করছে৷ এমনকি শিশুরাও দাঁড়িয়ে আছে নিরাপত্তা দেয়ালের ওপরে৷ চিড়িয়াখানার নিরাপত্তাকর্মীরাও কাউকে বাধা দিচ্ছে না৷
উন্মুক্ত বেষ্টনিতে জিরাফ
চিড়িয়াখানার উন্মুক্ত বেষ্টনিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে জিরাফ৷ সেখানে অনেক ভীড়৷ শান্ত জিরাফ খাবার খাচ্ছে৷
বানরের জটলা
চিড়িয়াখানার প্রাণীদের মধ্যে ভীষণ হাসিখুশি দেখা গেল বানরের দলটিকে৷ জটলা পাকিয়ে খেলছে, মাঝে মাঝে দর্শকদের ভেঙচি কাটছে৷
পেখমমেলা ময়ূর
ময়ূরের খাঁচায় পেখমমেলা ময়ূরের দেখা পাওয়া গেল৷ ময়ূর-ময়ূরী একসঙ্গে হেঁটে বেড়াচ্ছে৷ এই খাঁচা কিন্তু বেশ পরিচ্ছন্ন৷
ভালো আছে জেব্রারা
ডোরাকাটা এই প্রাণীর দলটি দিব্বি হেসে-খেলে বেড়াচ্ছে, মনে হলো ওরা বেশ ভালোই আছে৷
আরো হরিণ
চিত্রা হরিণ ছাড়াও আরো কয়েক প্রজাতির হরিণ আছে চিড়িয়াখানায়৷ অন্য হরিণগুলোকেও খোলা মাঠে চড়ে বেড়াতে দেখা যায়৷