দক্ষিণ কোরিয়ার আট দর্শনীয় স্থান
এশিয়ায় ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য দক্ষিণ কোরিয়া৷ সেখানকার আটটি দর্শনীয় স্থান নিয়ে সাজানো হয়েছে এই ছবিঘর৷
সৌল
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী৷ ছবিতে ‘হাই-লাইন-পার্ক সৌলো ৭০১৭’ দেখা যাচ্ছে৷ একটি অব্যবহৃত ওভারপাসকে হাঁটার রাস্তায় পরিণত করা হয়েছে৷ সেখানে আরও আছে রেস্তোরাঁ, ক্যাফে আর প্রদর্শনীর স্থান৷ এটি ছাড়াও সৌলে ঐতিহাসিক অনেক কিছু দেখার আছে৷ যেমন, হ্যানোক এলাকায় গেলে জোসন আমলের ঐতিহ্যবাহী ঘরবাড়ির দেখা মেলে৷
বুলগুকসা টেম্পল
গিওংজু শহরের এই বৌদ্ধমন্দির কমপ্লেক্সটি ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়৷ সেখানে পর্যটকরা চাইলে ভিক্ষুদের সঙ্গে কিছুদিন থেকে মেডিটেশনে অংশ নিতে পারেন৷
পুসান
রাজধানী সৌলের পর বন্দরনগরী পুসানেই সবচেয়ে বেশি মানুষের বাস৷ সেখানকার সৈকত আর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এশিয়ার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয়৷
সেওরাকসান ন্যাশনাল পার্ক
সারা বছরই সেখানে পর্যটকরা ঘুরতে যান৷ তবে শরৎকালে সেই পার্ক এমন রঙ ধারণ করে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে অন্যতম সুন্দর বলে গণ্য৷ ছোট ছোট পাহাড়ের মাঝে লাল আর হলুদ বনের সৌন্দর্য আগতদের মুগ্ধ করে৷
ডিমিলিটারাইজড জোন
যাঁরা উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস জানতে আগ্রহী, তাঁরা দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত পানমুনজম এলাকায় যেতে পারেন৷
জেজু দ্বীপ
দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলের কাছে অনেকগুলো দ্বীপ আছে৷ এরমধ্যে জেজু একটি৷ ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে এই আগ্নেয় দ্বীপের নাম৷ সেখানে গেলে ‘হেনিয়ো’দের দেখা মিলবে৷ তাঁরা হচ্ছেন নারী ডাইভার৷ কোনো যন্ত্রের সহায়তা ছাড়াই হেনিয়োরা সাগরতল থেকে শামুক, সাগরের শজারু, শেলফিশ সংগ্রহ করেন৷
হোংদে ফ্রি মার্কেট
সৌলের এই মার্কেটে প্রত্যেক সপ্তাহান্তে চারুকলার শিক্ষার্থীরা তাঁদের তৈরি শিল্পকর্ম বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন৷ আর যাঁরা ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ভক্ত তাঁরা চাইলে পুসানের শিনসেগে সেন্টারে যেতে পারে৷ ১৪ তলা বিশিষ্ট এই মার্কেট বিশ্বের অন্যতম বড় ডিপার্টমেন্ট স্টোর৷
গোসল ঘর
জিমজিলবাং নামে পরিচিত এসব ঐতিহ্যবাহী গোসল ঘর অনেক কোরীয়র কাছে বেশ জনপ্রিয়৷ সেখানে গিয়ে তাঁরা সাওনা, স্টিম বাথ ইত্যাদি করে থাকেন৷ এছাড়া আছে মাসাজ সুবিধা৷ চাইলে কেউ সেখানে সারা রাত থাকতেও পারেন৷