পর্যটন সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ভুল ধারণা

লাস্ট মিনিট বলতে শেষ মুহূর্তের অফারকে বোঝায়: ফ্লাইট আর হোটেল সুদ্ধু এত দিনের জন্য এত ইউরো – আহা কী সস্তা! জার্মানির যে কোনো এয়ারপোর্টে গেলে এ ধরনের লাস্ট মিনিট অফার ঝুলতে দেখা যায়৷ কিন্তু বাস্তবিক টুর অপারেটরদের হাতে কোনো ঝড়তি-পড়তি বা বাড়তি হোটেলের ঘর থাকে না – এক যদি না তাদের হিসেবে ভুল হয়ে গিয়ে থাকে৷ সব মিলিয়ে তিন থেকে আট সপ্তাহ আগে বুক করাই ভালো৷

সোলারিয়ামে ত্বক কালো হয় দীর্ঘতরঙ্গ অতিবেগুনি আলোর প্রভাবে৷ কিন্তু সমুদ্রসৈকতে সূর্যস্নান করার সময় যে অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের উপর পড়ে, তা হ্রস্বতরঙ্গ, যা থেকে সানবার্ন বা ক্যানসার হয়৷ কাজেই সানস্ক্রিন ছাড়া এখানে গত্যন্তর নেই৷

অথচ সেটা প্রমাণ করার মতো কোনো পরিসংখ্যান নেই বা থাকাও সম্ভব নয়৷ বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা অত্যন্ত কম এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধ্বংসাবশেষের সরেজমিন তদন্ত করার কোনো উপায় থাকে না৷

টেক-অফের আগে মোবাইল ফোন সুইচ অফ করতে বলা হয় বটে, কিন্তু কেউ সেটা ভুলে গেলেই যে বিমান সঙ্গে সঙ্গে ক্র্যাশ করবে, এমন নয়৷ যাত্রীদের সেলফোন সারাক্ষণ সিগনালের খোঁজ করার ফলে পাইলটরা কানে একটা ভোঁ ভোঁ আওয়াজ শোনেন, যা বিরক্তিকর৷

ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্টরা নাকি আসল কথাটা বলেন না: অক্সিজেন পেলে নাকি যাত্রীদের নেশা হয়, তাই তারা দুর্ঘটনার সময় আতঙ্কিত হন না! ডাহা মিথ্যে৷ আসলে কেবিন প্রেসার পড়ে গেলে যাত্রীরা বিভ্রান্ত বা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন, তাই তাদের অক্সিজেন দেওয়া হয়৷

না, জেট ল্যাগ হয় শরীরের ‘সার্কেডিয়ান রিদম’ বা ২৪ ঘণ্টা আবর্তের অভ্যাসগুলো ভঙ্গ বা ব্যাহত হওয়ার ফলে৷ যখন ঘুমনোর সময়, তখন ঘুমোতে না পারা শরীরের পক্ষে এক ধরনের শক৷ শরীরের ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ বা জৈবিক ঘড়ি যতক্ষণ না স্থানীয় সময়ের সঙ্গে কাঁটা মিলিয়ে নিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত জেট ল্যাগ থাকে৷

আদৌ না৷ মৌসুম – যেমন শীত না গ্রীষ্ম, স্কুলের ছুটির সময় নাকি স্কি খেলার সময়, এখন কোনো বড় প্রদর্শনী বা মেলা চলছে কিনা – সবচেয়ে বড় কথা, হোটেলের ঘরের চাহিদা কেমন, এ অনুযায়ী ঘরভাড়া বাড়তে কিংবা কমতে পারে৷

১৩ নম্বরটাকে ইউরোপে এতোই অপয়া মনে করা হয় যে, কিছু কিছু হোটেল সত্যিই ১৩ তলা কিংবা ১৩ নম্বর ঘরটা রাখে না – ১২-র পরেই চলে আসে ১৪৷ অনেক বিমানেও দেখবেন ১৩ নম্বর বলে কোনো সিটের রো নেই৷

ভেনিলে ৪০০-র বেশি ব্রিজ আছে বটে কিন্তু জার্মানির হামবুর্গ বন্দরনগরীতে কতোগুলো সেতু আছে জানেন? ২,৫০০!

ডেড সি বা মৃত সাগরের জলে ২৮ শতাংশ নুন আছে, তাই সেখানে জলের উপর শুয়ে বই পড়া যায়৷ কিন্তু হর্ন অফ আফ্রিকার জিবুতি শহরের আসাল হ্রদের পানিতে লবণের পরিমাণ ৩৪ শতাংশের বেশি৷ ওদিকে কুমেরুর ডন জুয়ান পন্ডের স্যালিনিটি ৪০ শতাংশের অনেক উপরে!