পারোর দর্শনীয় স্থান
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দেশ সম্ভবত ভুটান৷ দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর পারো৷ বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান আছে সেখানে৷ ছবিঘরে দেখুন সেগুলোর বৃত্তান্ত৷
পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ভুটানের একমাত্র বিমানবন্দরটি পারো শহরে অবস্থিত৷ পাশের একটি ভিউ পয়েন্ট থেকে এ বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামার দৃশ্য দেখা যায়৷ পাহাড়ের মাঝে হওয়ায় এ বিমানবন্দরটি পৃথিবীর ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোর একটি৷
বার্ডস আই ভিউ
পারো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের সময় পারো শহরের মনোরম বার্ডস আই ভিউ৷
টলটলে পানির পারো চু
জংখা ভাষায় ‘চু’ শব্দের অর্থ নদী৷ পারোর একমাত্র নদী ‘পারো চু’৷ টলটলে স্বচ্ছ এ নদীর পানি৷
প্রেয়ার ফ্ল্যাগ
পারোর বিভিন্ন এলাকার পাহাড়গুলোর গায়ে প্রচুর প্রেয়ার ফ্ল্যাগ দেখা যায়৷ মৃত স্বজনদের অত্মার শান্তি কামনায় বসনো হয় এগুলো৷
রিনপুং জং
ভুটানের পারো জেলার বড় দুর্গ রিনপুং জং৷ পারো জং নামেও এটি পরিচিত৷ রিনপুং শব্দের অর্থ রত্নের স্তুপ৷ ১৬৪৬ সালে ভুটানের পশ্চিমাঞ্চলের প্রশাসনিক কেন্দ্র ও ভিক্ষুদের বসবাস কেন্দ্র হিসেবে এই দুর্গটি নির্মাণ করেন সাবড্রং গুয়াং নামগিয়াল৷
রিনপুং জংয়ের অভ্যন্তরে
১৯০৭ সালে অগ্নিকাণ্ডে রিনপুং জং ধ্বংস হয়ে যায়৷ পারো জংটি পরে পুনর্নির্মাণ করা হয়৷ এর দেয়ালগুলো অত্যন্ত বর্ণিল কারুকার্যমণ্ডিত৷
ভিক্ষুদের বসবাস
রিনপুং জং এখন মূলত ভিক্ষুদের বসবাস কেন্দ্র৷ পর্যটকদের জন্য এটি উম্মুক্ত৷
আকাশ ছোঁয়া পাহাড়
পারোর সর্বত্রই আকাশচুম্বী পাহাড়ের দেখা মেলে৷
রিনপুং থেকে দেখা পারো শহর
রিনপুং জং থেকে পারো শহরটি দেখতে খুব সুন্দর৷ ছোট্ট এই শহরের পুরোটাই দেখা যায় জায়গাটি থেকে৷
টা জং
রিনপুং জংয়ের পিছনে পাহাড়ে অবস্থিত ‘টা জং’ এখন মূলত জাদুঘর৷ এর নির্মানকাল ১৬৫১ সাল৷ দুর্গের মতো দেখতে এই ভবনটি একসময় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হতো৷ ১৯৬৭ সাল থেকে এটি জাতীয় জাদুঘরে রূপ দেয়া হয়৷
চিত্রকর্মের সমাহার
টা জং জাদুঘরটি মূলত ভুটানের ঐতিহ্যবাহী নানান চিত্রকর্ম এবং ধর্মীয় ভাবধারার পেইন্টিংয়ের বিশাল সংগ্রহশালা৷
টাইগারস নেস্ট
পারো শহরের উত্তর দিকে একটি খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত তাকশাং বৌদ্ধবিহার৷ স্থানীয়ভাবে জায়গাটি ‘টাইগারস নেস্ট’ নামে পরিচিত৷ উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় পুরো বিহারটিই স্থাপত্যশৈলীর এক অপরূপ নিদর্শন৷
আয়রন ব্রিজ
পারো থিম্পু মহাসড়কের পাশে পারো নদীর উপরে প্রাচীন আয়রন ব্রিজ৷ ‘চেইন মেকার’ উপাধি পাওয়া থাংটং গিলপো নামে এক প্রকৌশলী ঝুলন্ত এই সেতুটি নির্মাণ করেন ১৩০০ খ্রিস্টাব্দে৷ কথিত আছে, তিব্বত অঞ্চলে এরূপ আটান্নটি সেতু তৈরি করেছিলেন তিনি৷