ফাঁকা ঢাকায় নানা রঙের ঈদ
ঈদের ছুটি এলেই কোটি মানুষের ঢাকা হয়ে যায় একেবারে ফাঁকা৷ কিন্তু যাদেরকে রয়েই যেতে হয়, কেমন কাটে তাদের ঈদ? এ বিষয়ে ছবির চেয়ে বড় কথা আর কে বলতে পারে?
কে বেশি সুন্দর!
অন্য সময় শিশুদের দখলেই থাকে জাতীয় শিশু পার্ক৷ বাবা-মা সাথে এলেও রাইডগুলোতে মূলত শিশুদের জন্যই৷ তবে ঈদের আনন্দ বলে কথা৷ শিশুদের সাথে বাবা-মারাও চড়ে বসেছেন ট্রেনে৷ মনের আবার শিশু-বুড়ো কি! তাই না? সুন্দর করে সেজেগুজে আসা এই শিশুটির কথাই ধরুন না৷ পৃথিবীর কোন ফুল আছে, এই শিশুটির সাথে সৌন্দর্যের পাল্লায় যেতে পারে!
যেমন খুশি তেমন
আজ আর কোন বাধা নেই৷ কারণ? আজ ঈদ৷ হাতে মেহেদি লাগিয়ে, ইচ্ছেমতো নেচে-গেয়ে-লাফিয়ে বেড়ানোই আজকের স্বাধীনতা৷ কদিন পর তো বড় হয়েই যেতে হবে৷ যতোদিন পারা যায়, এই স্বাধীনতা উপভোগ করে নেয়াই তো ভালো৷
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ
শিশু পার্কের রাইডগুলোর অবস্থা বিশেষ ভালো না৷ নিরাপত্তা কেমন, তাও অনেকেই জানেন না৷ কিন্তু তাও দমিয়ে রাখতে পারে না দুরন্ত শৈশবকে৷ শূন্যে ওড়ার হাতছানি সামনে৷ কে পারে তাদের আটকে রাখতে?
কড়া নিরাপত্তা
আইনশৃংখলা বাহিনী আগেই জানিয়েছিলো, এবার কোন ধরনের কোন হুমকি নেই৷ কিন্তু তবুও, সতর্কতা তো ছিলোই৷ ঈদের জামাতে অংশ নিতে গিয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা পেরোতে হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের৷
অন্যরকম ঈদ
সবাই যখন সারিবদ্ধভাবে ঈদের জামাতে যোগ দিতে দাঁড়িয়েছেন, তখন দায়িত্বে থাকা আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই৷ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঈদের দিনটাও পরিবার ছাড়াই কাটাতে হয় তাদের৷ সব শেষে সান্ত্বনা, সঠিক দায়িত্ব পালন করে সবাইকে নির্বিঘ্নে ঈদ পালনে সহায়তার৷
কাটে না সময়
ঈদে সেমাই নয়, হাসপাতালে ওষুধ খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে অনেককে৷ কবে ফিরবেন বাড়ি, কবে মিলবে আপনজনের দেখা, সে অপেক্ষায় বিভিন্ন হাসপাতালের রোগীরা৷ তবে ঈদের দিনেও যাতে তাদের সেবা- শুশ্রূষায় ঘাটতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে চলেছেন নার্স ও ডাক্তাররা৷
অবিরাম খবরের সন্ধান
আর সংবাদকর্মীরা তো আছেনই৷ রোদ-বৃষ্টি, দুর্ঘটনা, ভয়াবহতা, কোনকিছুই আটকে রাখতে পারে না যাদের, ঈদের দিন তাদের দেখা যাবে না, তা কি হয়! ঈদের জামা গায়ে জড়িয়ে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন হাতে ঠিকই পুরো দিন রাজধানী চষে বেড়িয়েছেন সংবাদকর্মীরাও৷