জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘নালিশ’
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানকে লেখা চিঠিতে মিয়ানমার যেন নতুন করে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি না করে এবং নিরাপত্তা অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না করে তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে বলা হয়৷
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানের কাছে এ কূটনৈতিক বার্তা পৌঁছে দেয়৷
পূর্বে অবহিত না করে সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্য সমাবেশের ফলে দু'দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়৷
বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের অবহিত করার অনুরোধও রয়েছে চিঠিতে৷
চলতি বছরের জুন থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দু'দেশের সীমান্তে গুলির ৩৫টি ঘটনা ঘটেছে৷ গত ১১ সেপ্টেম্বর সীমান্ত সংলগ্ন মংগদু এলাকায় প্রায় এক হাজার সেনার সমাবেশ ঘটায় মিয়ানমার৷ কোনো ধরনের অভিযান পরিচালনার সময় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি মিয়ানমারকে স্মরণ করিয়ে দিতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ৷ তা না হলে এ অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী আশ্রয়ের জন্য সীমান্ত পাড়ি দিতে পারে বলে আশঙ্কা বাংলাদেশের৷
গত ৪ জুন মিয়ানমার সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছাকাছি এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়৷ বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশকে অবহিত করা হয়নি৷ এ ধরনের ঘটনা সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে চিঠিতে সীমান্তের কাছে সব ধরনের সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় বাংলাদেশ৷
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশের প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ৷ বাংলাদেশের শক্ত অবস্থানের পর সীমান্ত থেকে মিয়ানমার সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান, বিজিবির মুখপাত্র লে. কর্নেল সাইদুর রহমান৷
আরআর/এসিবি (ইউএনবি)