মেসির আর্জেন্টিনা যেভাবে ফাইনালে
প্রথম ম্যাচের পর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন অনেকেই৷ সারা বিশ্বের সমর্থকদের লিওনেল মেসি তখন বলেছিলেন, ‘‘আমাদের ওপর আস্থা রাখুন৷’’ আস্থা রেখেছিলেন সবাই৷ তারপর আর্জেন্টিনা কিভাবে ধাপে ধাপে ফাইনালে পৌঁছেছে, দেখুন ছবিঘরে...
সৌদি আরব ২ : আর্জেন্টিনা ১
গত ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের সঙ্গে কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে আর্জেন্টিনা৷ টানা ৩৬ ম্যাচের অপরাজিত দলটি ১০ মিনিটেই পেনাল্টিতে করা মেসির গোলে এগিয়েও যায়৷ কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যেন নতুন এক দল হয়ে মাঠে নামে ফিফা ব়্যাংকিংয়ে ৫১ নম্বরে থাকা সৌদি আরব৷ ৪৮ মিনিটে আল-শেরি এবং ৫৩ মিনিটে আল-দোসারির করা গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা৷
আর্জেন্টিনা ২ : মেক্সিকো ০
২৬ নভেম্বর মেক্সিকোকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় আর্জেন্টিনা৷ প্রথমার্ধে গোলের দেখা না পাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ দেখা গিয়েছিল কোচ লিওনেল স্কালোনির কপালে৷ কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মেসি এবং এনজো ফার্নান্দেজের গোল জয়ের ধারায় ফেরায় আলবেসিলেস্তেদের৷
আর্জেন্টিনা ২ : পোল্যান্ড ০
প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের মতো দলের কাছে হেরে যে দলের আত্মবিশ্বাস প্রায় তলানিতে নেমেছিল, সেই দল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি ফিরে পায় পোল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে৷ অ্যালেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টার এবং জুলিয়ান আলভারেজের গোলের সুবাদে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক-আউট পর্বে ওঠে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নেরা৷
আর্জেন্টিনা ২ : অস্ট্রেলিয়া ১
এ ম্যাচটা ছিল মেসির ক্যারিয়ারের ১০০০ তম এবং আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে শততম৷ তার বাঁ পায়ের জাদুতে আর্জেন্টিনা অনায়াসে পৌঁছে যায় শেষ আটে৷ ১৫ গজ দূর থেকে মেসির জাদুকরি বাম পায়ের শটের গোলের পর আলভারেজের জয় নিশ্চিত করা গোলে অবশ্য যথেষ্ট ভাগ্যের ছোঁয়াও ছিল৷ ব্যাকপাস পা দিয়ে থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষকে গোল উপহার দেয়ার জ্বালা অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাথু রায়ানকে নিশ্চয়ই দীর্ঘকাল কষ্ট দেবে৷
আর্জেন্টিনা ২ (৬) : নেদারল্যান্ডস (৫)
৯ ডিসেম্বরের এ ম্যাচটাই কি আর্জেন্টিনাকে শতভাগ উজ্জীবিত করেছে? ম্যাচে মলিনা ও মেসির গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা৷ কিন্তু ইনজুরি টাইমে সমতা ফেরায় ডাচরা৷ শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয় টাইব্রেকারে৷ ম্যাচটি অবশ্য দু দলের খেলোয়াড়দের মারামারিতেও জড়ানো, ফাউল এবং হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ির জন্যও মনে থাকবে বহুকাল৷ পুরো ম্যাচে মোট ১৪ জনকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন স্প্যানিশ রেফারি আন্তোনিও লাহোজ৷
আর্জেন্টিনা ৩ : ক্রোয়েশিয়া ০
প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা৷ ধারণা করা হয়েছিল ব্রাজিলকে বিদায় করা ক্রোয়াটরা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে৷ অথচ কোচ স্কালোনির চমৎকার স্ট্র্যাটেজি আর লিওনেল মেসির মেসিসুলভ পারফর্ম্যান্সে আসলে পাত্তাই পায়নি ক্রোয়েশিয়া৷ প্রথম গোলটি পেনাল্টি থেকে করেন মেসি৷ বাকি দুটি গোল আসে আর্জেন্টিনার নতুন সেন্সেশন আলভারেজের পা থেকে৷