ম্যাচ ফিক্সিং
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ফুটবল মাঠে দুর্নীতি নতুন বিষয় নয়৷ ‘ম্যাচ ফিক্সিং'-এর ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে মানুষ এ সব বিষয় জানতে পারে৷ চুনোপুঁটিরা অনেক সময়ে ধরা পড়লেও রাঘব-বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়৷ কিন্তু এবার সিঙ্গাপুরের পুলিশ দাবি, তারা এমনই এক দুষ্টচক্রের চাঁইকে গ্রেপ্তার করেছে৷ সেই ব্যক্তির নাম ড্যান ট্যান, পুরো নাম ট্যান সিট এং৷ পেশায় ব্যবসায়ী৷ পুলিশের অভিযোগ, গোটা বিশ্বে ম্যাচ ফিক্সিং সিন্ডিকেট-এর গুরুত্বপূর্ণ নেতা এই ব্যক্তি৷ তার উপর সিঙ্গাপুর এই সিন্ডিকেটের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত৷ সে দেশের পুলিশ অবশ্য বলেছে, ম্যাচ ফিক্সিং চক্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়৷ উইলসন রাজ পেরুমল ও এরিক ডিং সি ইয়াং নামের আরও দুই চাঁইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে তারা৷
ইন্টারপোলের মহাসচিব রোনাল্ড নোবল স্বয়ং সিঙ্গাপুর পুলিশকে ফোন করে ট্যানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ ইটালির কর্তৃপক্ষ তার খোঁজ করছিল৷ তিনটি দেশে ৩২টি ম্যাচ ফিক্সিং-এর অভিযোগে হাঙ্গেরির পুলিশও ট্যান-কে দায়ী করছে৷ বৃহস্পতিবার প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানে মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন নারী৷ ইন্টারপোল জানিয়েছে, তারা সবাই সিঙ্গাপুরের নাগরিক৷ নয়জন আপাতত জামিন পেয়েছেন, বাকিদের রেহাই নেই৷ দেশের আইন অনুযায়ী এমন অভিযুক্তদের বিচার ছাড়াও এক বছর পর্যন্ত আটক রাখা সম্ভব৷ আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে ইউরোপে তদন্ত চলছে৷
ম্যাচ ফিক্সিং সিন্ডিকেট-এর বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে ইন্টারপোল৷ পাঁচটি দেশে তদন্ত চালিয়ে ৩৮০টি ম্যাচকে ঘিরে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল৷ অনেক খেলোয়াড়, রেফারি, ফুটবল কর্মকর্তা তাতে জড়িত ছিলেন, এমনটা ভাবার কারণ রয়েছে৷ ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলা এই তদন্তেও সিঙ্গাপুরের দুষ্টচক্রের ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে যায়৷
আন্তর্জাতিক ফুটবল সংগঠন ফিফা সিঙ্গাপুরের পুলিশের এই সাফল্যকে স্বাগত জানিয়েছে৷ ম্যাচ ফিক্সিং-এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের সব পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করে ফিফা৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, এপি)