যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া
আবার মৃত্যু৷ আবার সারি সারি শিশুদের লাশ৷ আবার সিরিয়া৷ আসাদ সরকারের বোমারু হামলায় ফের শ’য়ে শ’য়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ এর আগেও অবশ্য বহুবার এমন দৃশ্য দেখেছে সিরিয়া৷
সপ্তাহব্যাপী বিমান হামলা
গত সপ্তাহেই রাজধানী দামেস্কের অদূরে ঘুটা অঞ্চলে বিদ্রোহীদের উপর হামলা শুরু করে আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনী৷ একের পর এক বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়৷ এখনো পর্যন্ত সেই হামলায় পাঁচশ’রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যদিও জাতিসংঘ সিরিয়ায় আগেই ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল৷
নারকীয় অবস্থা
জাতিসংঘের মহাসচিব ইতিমধ্যেই সিরিয়ার অবস্থাকে ‘পৃথিবীর বুকে একটি নরক’ বলে বর্ণনা করেছেন৷ জাতিসংঘের দাবি– আসাদ বাহিনী যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ মানুষের উপর এই আক্রমণ বন্ধ করুক৷ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন করে আসাদ বাহিনী ঘুটায় আক্রমণ শুরু করেছে৷
রাসায়নিক বোমা
অভিযোগ আগেও ছিল, এবারো উঠেছে৷ অভিযোগ, আসাদ সরকার সিরিয়ার সাধারণ মানুষের উপর রাসায়নিক বোমা বর্ষণ করছে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বহু আহতের শরীরেই ক্লোরিন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে৷ বোমা হামলার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তিরা৷ তবে সরকারপক্ষের দাবি, কখনোই ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করা হয়নি হামলায়৷
রাস্তা জুড়ে যুদ্ধের চিহ্ন
যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার রাস্তাঘাট ভরে আছে নানা অস্ত্রের ভগ্নাবশেষে, যার মধ্যে মিসাইলের চিহ্নও মিলেছে৷ সবচেয়ে সমস্যার বিষয় হলো, অতর্কিতে আসাদ সরকার হামলা শুরু করায় অধিকাংশ সাধারণ মানুষই পালাতে পারেননি৷
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুমা
নতুন করে আক্রমণের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘুটা অঞ্চলের দুমা শহর৷ সাময়িক যুদ্ধ বিরতির পর সাধারণ মানুষ রাস্তা পরিষ্কার করার কাজে নেমে পড়েছেন৷
খাবার নেই, জল নেই
আক্রমণের ফলে দুমায় খাবার এবং পানীয় প্রায় ফুরিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু নতুন করে খাবার আসছে না৷ সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত৷
নতুন করে যুদ্ধবিরতি
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নতুন করে সিরিয়ায় যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছে৷ ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে৷ যদিও রাশিয়ার তরফ থেকে বলা হয়, আইএস এবং আল কায়দার উপর হামলা চলতে পারে৷ রাশিয়া আসাদ বাহিনীর অন্যতম মিত্র৷