‘সরকারের নির্দেশে হত্যা’
৭ জানুয়ারি ২০১৩বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী এখনও ফিরে আসেন নি৷ ফিরে আসেন নি আরেক বিএনপি নেতা চৌধুরী মোহাম্মদ আলম৷ আর সর্বশেষ ঢাকা ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মজুমদারের লাশ পাওয়া গেল কুষ্টিয়ায়৷ তিনি ঝিনাইদহের শেলকুপা এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন৷ শনিবার সেখান থেকে ব়্যাবের পোশাক পরা সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাঁকে ধরে নিয়ে যান৷ এরপর রাতেই তাঁর লাশ পাওয়া যায় ২০ কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী এলাকায়৷ লাশের দু'হাতে পুলিশ লেখা হ্যান্ডকাফ বা হাতকড়া ছিল৷
সোমবার তাঁর লাশ ঢাকা নিয়ে আসা হয়েছে৷ লাশের জানাজা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা৷ সেখানে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম দাবি করেন, সরকারের নির্দেশেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে৷ তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি'র অনেক নেতা-কর্মীদের খুন বা গুমের ধারাবাহিকতায়ই রফিকুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে৷
বিএনপি'র আরেক সিনিয়র নেতা এমকে আনোয়ার বলেন, সরকার যদি দাবি করে যে ব়্যাব তাঁকে হত্যা করেনি, তাহলে সরকারকেই তা প্রমাণ করতে হবে৷ তিনি জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব খুন-গুম আর অপহরণের বিচার হবে৷
এদিকে, সরকারের দিক থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্ত্রী বা সরকারি দলের কোনো নেতা কোনো বক্তব্য দেননি৷ তবে কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার মফিজুদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে রফিকুল ইসলামের অপহরণের কোনো প্রমাণ তাঁরা এখনও পাননি৷ মামলার তদন্ত হচ্ছে৷ তদন্ত শেষ হলেই জানা যাবে কারা এই অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত৷ আর লাশের হাতে পুলিশের হাতকড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো বাইরেও সাধারণ মানুষের কাছে পাওয়া যায়৷