সার্ক শীর্ষ সম্মেলন: হিমালয় পরিষদ গঠনের প্রস্তাব বাংলাদেশের
২৮ এপ্রিল ২০১০উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা সংস্থা ভুক্ত আট দেশের সরকার প্রধানরাই উপস্থিত ছিলেন৷
১৯৮৫ থেকে ২০১০৷ ২৫ বছর৷ ১৯৮৫ সালে দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের প্রথম সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়৷ রজতজয়ন্তীর এই বছরে প্রথমবারের মত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বজ্র-ড্রাগনরাজের দেশ ভুটানে৷ দুই দিনব্যাপী ১৬ তম এই শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন৷
রাজধানী থিম্পুতে এই মূহূর্তে রয়েছেন বাংলাদেশের সাংবাদিকে ফারাজী আজমল হোসেন৷ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিষয়ে তিনি জানালেন, এই সম্মেলনে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আলোচনা করেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের ধকল সামাল দেবার বিষয়ে সার্ক কি করতে পারে, সে বিষয়টি৷ আশা করা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে একটি চুক্তি সই হবে৷ আর একটি বাণিজ্য সংক্রান্ত৷ দুটি চুক্তির খসড়াই সার্ক স্ট্যান্ডিং কমিটি চূড়ান্ত করে টেবিলে উপস্থাপন করেছে অনুমোদনের জন্য৷
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে হিমালয় পরিষদ নামে একটি দক্ষিণ এশিয় ফোরাম গঠনের প্রস্তাব করেছেন৷ শেখ হাসিনা আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন৷
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং কিন্তু সার্কের গঠন এবং এর উদ্দেশ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন৷ বলেছেন, এই সিকি শতাব্দিতে যদি আমরা বলি পানির গ্লাসটি এখনো অর্ধেক খালি, এই বলাটা কোনভাবেই ভুল হবে না৷ আমরা এই অর্ধেক খালি গ্লাসটিকে পুরো ভরে রাখার জন্য সঠিক কাজটি করছি না৷
সার্ককে ঘিরে পুরো থিম্পু শহর সেজেছে নতুন সাজে৷ প্রথমবারের মত সেখানে এত বড় একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ আর এতে খুবই খুশি স্বাগতিক দেশ ভুটানের জনগণ৷ অবশ্য ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জিগমে থিনলের কথায়... সার্ক তার মূল লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারেনি৷ দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের কল্যাণে তাই প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে বলেই উল্লেখ করলেন তিনি৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক