সালমান খানের কারাদণ্ড
৫ এপ্রিল ২০১৮বলিউড তারকা সালমান খানের কালো রঙের ‘লাকি শার্ট' শেষ পর্যন্ত অপয়া হয়ে গেল৷ বৃহস্পতিবার যোধপুরের একটি আদালত দুই দশক আগে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের দায়ে তাঁকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে৷
রাজস্থানে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়' চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে গিয়ে পরপর দুইদিন আলাদা আলাদা স্থানে ওই দুটি বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণি শিকার করেছিলেন সালমান৷
১৯৯৯ সালে ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে দায়ের করা এ মামলার অপর আসামি অভিনেতা সাইফ আলি খান এবং অভিনেত্রী টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলম কোঠারিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক৷
ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ৫২ বছর বয়সি সালমান রায় শুনতে কারাগারে এসেছিলেন তাঁর কালো রঙের ‘লাকি শার্ট' পরে৷ কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এখন তাঁকে থাকতে হবে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে৷ একই কারাগারে ২০০৬ সালেও ৫ রাত কাটাতে হয়েছিল সালমানকে৷
যোধপুরের কোঙ্কনি গ্রামে কৃষ্ণসার হরিণকে মারার অভিযোগে চারটি মামলা হয়েছিল সালমান খানের বিরুদ্ধে৷ ওই অভিযোগে ১৯৯৮ সালের ১৭ অক্টোবর তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল৷ কিন্তু তিনটি মামলায় সালমান খালাস পেয়ে যান৷
এর মধ্যে দুটি মামলায় ২০০৬ সালে সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ কিন্তু রাজস্থান হাই কোর্ট ওই সাজা স্থগিত করে দেয় এবং ২০১৬ সালে সালমানকে খালাস দেওয়া হয়৷ হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের করা আপিল সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন৷
এর আগে মুম্বাইয়ে সালমানের গাড়ি চাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ২০১৫ সালে তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল ভারতের একটি আদালত৷ পরে উচ্চ আদালত থেকে সালমান ওই মামলায় খালাস পান৷
এইচআই/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, এনডিটিভি)
সালমানের কি সত্যিই এ শাস্তি প্রাপ্য ছিল? লিখুন নীচের ঘরে৷