অর্থ আত্মসাতের দায়ে রতনপুর গ্রুপের এমডি মাকসুদুর গ্রেপ্তার
৯ জুন ২০২২ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে বুধবার রাত ১১টার দিকে গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১২২ নম্বর সড়কে একটি বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব৷ দুই ঘণ্টা পর তাকে গাড়িতে তুলে ওই বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে দেখা যায়৷ নিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেরা এড়াতে পরনের পাঞ্জাবি দিয়ে মুখ ঢাকতে দেখা যায় তাকে৷
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘‘রতনপুর গ্রুপের এমডি মাকসুদুর রহমান দেশের অন্যতম শীর্ষ ঋণখেলাপি৷ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে৷ এসব মামলায় চট্টগ্রামের আদালত তার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে৷ এর একটিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হল৷ ’’
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত আরএসআরএম এক সময় ছিল চট্টগ্রামের ইস্পাত খাতের নামী কোম্পানি৷ ৪০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আরএসআরএম গ্রুপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়৷ ফলে ২০২১ সালের শুরু থেকেই এ কারখানা বন্ধ রয়েছে৷
সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্যবসা করার জন্য ঋণ নিয়ে তা শোধ না করায় আরএসআরএমের কাছে ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা দাঁড়িয়েছে ২২০০ কোটি টাকা৷ ওই পাওনা আদায়ে কোম্পানি এবং এর কর্ণধারদের বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি মামলা হয়েছে৷
এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের দায়ের করা দুটি এনআই অ্যাক্টের মামলায় মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত৷
জনতা ব্যাংকের ৩১৩ কোটি টাকা ঋণ শোধ না করায় চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি মাকসুদুরের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়৷
আরএসআরএমের কাছে সোনালী ব্যাংকের পাওনা ২০১ কোটি টাকা৷ ওই টাকা আদায় করতে না পেরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় আরএসআরএমের কারখানাসহ ১০০ শতক জমি নিলামে তোলার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)