আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের জলকামান, লাঠিচার্জ
আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার’ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে ছয় শিক্ষার্থী ও এক পথচারীসহ কমপক্ষে মোট সাতজন আহত হয়৷ দেখুন ছবিঘরে...
‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র হামলা
পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দসংবলিত গ্রাফিতি রাখা ও না রাখা নিয়ে বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র মিছিলে হামলা করে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের একটি সংগঠন৷ ওই হামলায় অন্তত ১০ আদিবাসী শিক্ষার্থী ও তাদের সমর্থক আহত হন৷
সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি
সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ (১৬ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার একদল বিক্ষোভকারী সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে৷
মিছিলে বাধা
বিক্ষোভকারীরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন৷ সেখান থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে শিক্ষাভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ৷
ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা
বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে ও লাঠিচার্জ করে৷
টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে এবং জলকামান ব্যবহার করেছে৷ এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়৷
আহত ৭ জন
মিছিলের পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থী ও এক পথচারীসহ মোট সাতজন আহত হন৷
হাসপাতালে রুপাইয়া
গতকালের হামলায় আহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা৷ তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে৷ ডয়চে ভেলের সাংবাদিক তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কথা বলার অবস্থায় নেই বলে তার বন্ধুরা জানান৷ রুপাইয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য৷
সরকারের নিন্দা, তদন্তের নির্দেশ
আদিবাসী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার৷ একইসাথে এই হামলার তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাসও দেয়া হয়েছে সেখানে৷
বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা
হামলার নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্রদল, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ (ইউপিডিএফ) বামপন্থী সাতটি ছাত্রসংগঠনের মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনসহ (এমজেএফ) বিভিন্ন দল ও সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে৷