ইডেনে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমর্থকদের আশা-নিরাশার কাহিনি
পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ দেখতে ইডেনে গেছিলেন প্রচুর বাংলাদেশি সমর্থক। অল্প হলেও ছিলেন পাক সমর্থকেরা। খেলার আগে-পরে কী বললেন তারা?
রাগে জামা ছিঁড়লেন
মহম্মদ নাদিম হুসেন ভারতে এসে বাংলাদেশের সবকটি ম্যাচ দেখেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে হারার পর ক্ষোভে ফেটে পড়লেন নাদিম। ডিডাব্লিউকে তিনি বললেন, ''একের পর এক হার দেখতে দেখতে রাগে-দুঃখে নিজের জামা ছিঁড়ে ফেলেছি। যদি সাকিব থাকে, তাহলে দল ডুববেই। আমি প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে অনুরোধ করছি, সাকিবকে দল থেকে বাদ দিন।''
কষ্ট পেয়েছেন ফাতেমা
বাংলাদেশ বারবার হেরে যাওয়ায় এবং বিশেষ করে পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছেন ফাতেমা। ডিডাব্লিউকে তিনি বলেছেন, ''রাগ হচ্ছে। কিন্তু প্রকাশ করতে পারছি না। প্রিয় দলের এই খেলা দেখে খুব কষ্ট পেয়েছি।''
যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি সমর্থক
কেটি জোনস ও তার ছেলে কে জোনস এসেছেন যুক্তরাজ্য থেকে। শুধুমাত্র বাংলাদেশের খেলা দেখবেন বলে। কেটি জানিয়েছেন, ''ছেলে বাংলাদেশের এবং আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে সাকিবের কট্টর সমর্থক। আমরা চাই, সব ম্যাচে বাংলাদেশ জিতুক।'' তবে কেটির আশা পূর্ণ হয়নি। বাংলাদেশের হার দেখতে হয়েছে তাদের।
বাঘের সাজে সমর্থকেরা
বাংলাদেশের প্রচুর সমর্থক এসেছিলেন বাঘের পোশাক পরে। মাখায় ছিল বাঘের ম্যাসকট। কিন্তু মাঠে তাদের ১১ জন টাইগার জ্বলে উঠতে পারলেন না।
আরেক সমর্থক বাঘের বেশে
আরেক সমর্থক বাঘের বেশে। সদর্পে খেলা দেখতে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে খেলাশেষে তারাই কষ্ট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তাদের আশা ছিল, বাংলাদেশের ১১ জন ক্রিকেটার লড়াই করবেন। কিন্তু সেই লড়াই দেখাতে পারেননি তারা। সেই কষ্টটা আরো বেশি করে বেজেছে তাদের মনে।
বড় বাঘ নিয়ে
কিছু সমর্থকের হাতে ছিল বড় বাঘও। যেমন এই সমর্থকেরা খেলা দেখে ফিরছিলেন। নিউ মার্কেটের সামনে তাদের দেখা গেল হারের কষ্ট নিয়ে হোটেলে ফিরতে।
হাবিবুল বাশারের আশা পূর্ণ হলো না
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও অন্যতম সফল ব্যাটার নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ দেখতে আসার সময় ডিডাব্লিউকে বলেছিলেন, আমি খুব আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের দল জিতবে। আগামী ম্যাচগুলিতে আরো ভালো খেলব আমরা। কিন্তু হাবিবুলের আশা পূর্ণ হয়নি।
বাংলাদেশের ভারতীয় সমর্থক
গোপাল সাহা কলকাতায় থাকেন। ইডেনে বাংলাদেশের দুইটি ম্যাচের টিকিট অনেক আগে থেকে কেটে রেখেছিলেন। গোপাল জানালেন, ''আমি চাই বাংলাদেশ জিতুক।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমি বাংলাদেশকেই সমর্থন করব।''
বাংলাদেশের টি শার্ট বিক্রি
বাংলাদেশের অফিশিয়াল টি শার্ট বিক্রি হতে দেখা গেল ইডেনের কাছে। সেই টি শার্ট কেনার জন্য সমর্থকদের অভাব ছিল না।
বাবর আজমের সমর্থক
আক্তার আলী হাওড়ায় থাকেন। তিনি আবার পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের বড় ফ্যান। তার খেলা দেখতে ভালোবাসেন তিনি। ইডেনে এসেছিলেন বাবরের খেলা দেখার জন্যই। সঙ্গে এনেছিলেন পোস্টার। তাতে লেখা, 'আমি এখানে এসেছি, শুধুমাত্র বাবরের জন্য'।
কাজী মহসিনের সমর্থন
কাজী মহসিনকে দেখা গেল ইডেনের বাইরে। গায়ে পাকিস্তান টিমের টি শার্ট। করাচিতে জন্ম হলেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। মহসিন ডিডাব্লিউকে বললেন, পাকিস্তানের অবস্থা খুব খারাপ। এখন বাকি সব ম্যাচ জিতলেই তারা সেমিফাইনালে যাবে। আশা করছি, পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এবার ঠিকভাবে খেলে সেমিফাইনালে উঠবে। অন্তত বাংলাদেশ ম্যাচে আশাপূরণ হয়েছে মহসিনের।
দল জেতার পর পাক সমর্থকেরা
পাকিস্তান তখন জিতে গেছে। মাঠ ছেড়েছেন সমর্থকরা। সেই সময়ই ইডেনের কাছে দেখা পাওয়া গেল চার পাকিস্তানী সমর্থকের। টিম জেতায় তারা তখন ভিক্টরি সাইন দেখাচ্ছেন। কলকাতায় বেশ কিছু পাকিস্তানি সমর্থকের দেখা পাওয়া গেল।
বাংলাদেশে থেকেও পাকিস্তানের সমর্থক
ফাহেক হাসান বাংলাদেশের বাসিন্দা। ডিডাব্লিউকে তিনি বলেছেন, ''আমার জন্ম পাকিস্তানে। তাই আমি পাকিস্তানের সমর্থক। ২০০৭ সালে আমি বাংলাদেশে চলে আসি। বাকি পরিবার এখনো পাকিস্তানে।'' পাকিস্তানের অফিশিয়াল টি শার্ট পরে তাকে দেখা গেল ইডেনের সামনে।