ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে বহু মানুষ হতাহত
২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ইন্দোনেশিয়ায় স্থানীয় সময় শনিবার রাতে সুন্দা প্রণালীর আশেপাশের সমুদ্র সৈকতে সুনামির আঘাতে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে৷ জাভা এবং সুমাত্রার মাঝখানের এলাকায় এটি আঘাত হানে৷ সুনামিতে আহতের সংখ্যা অন্তত ৭০০৷ এছাড়া এখনো ত্রিশ ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি জানিয়েছে৷ অনেক ঘরবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ধ্বংস হয়ে গেছে৷
বিএনপিবির মুখপাত্র সুতোপো পুরো সুগ্রোহো এক বিবৃতিতে রবিবার জানান, ‘‘সুনামিতে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে, কেননা, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সব তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি৷’’
কর্তৃপক্ষ বলছে, সুনামির ঢেউ সম্ভবত আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাবে পানির নীচে ভূমিধসের পাশাপাশি অমাবস্যার কারণে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুনামির ২৪ মিনিট আগে অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল৷
সুগ্রোহো এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এই দুই ঘটনার সংমিশ্রণে উপকূলে হঠাৎ করে সুনামি আঘাত হেনেছে৷’’ ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা সুনামির কারণ তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি৷
প্রসঙ্গত, আনাক ক্রাকাতোয়া দ্বীপটি ১৮৮৩ সালে ক্রাকাতোয়া অগ্ন্যুৎপাতের অর্ধশতক পর জেগে ওঠে৷ সেই অগ্ন্যুৎপাতের সময় সৃষ্ট সুনামিতে ছত্রিশ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান৷ শনিবারের সুনামির কয়েকদিন আগে থেকেই আগ্নেয়গিরিটি থেকে আকাশের দিকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে৷ সুগ্রোহো সুনামির ক্ষয়ক্ষতির ভিডিও টুইটারে প্রকাশ করেছেন৷
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এক টুইটার বার্তায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন৷ সুনামিতে আক্রান্তদের সর্বাত্মক সহায়তা করতে সরকারের সব দপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি৷
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় অতীতেও সুনামিতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে৷ ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়াসহ ১৩ দেশে সুনামির আঘাতে ২২৬,০০০ মানুষ প্রাণ হারান৷ তাদের মধ্যে ১২০,০০০ ছিলেন শুধু ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা৷
এআই/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)