1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলের বিমান-হামলা, গাজার পুলিশ প্রধান-সহ মৃত ৬৮

৩ জানুয়ারি ২০২৫

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজার পুলিশ প্রধান ও তার সহকারী-সহ ৬৮ জন মৃত।

https://p.dw.com/p/4omIz
ইসরায়েলের বিমান হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয় শিবিরের অবস্থা দেখছেন এক ব্যক্তি।
ইসরায়েলের দাবি, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে তারা হামলা করেছে। ছবি: Hatem Khaled/REUTERS

ইসরায়েলের বিমান গাজা ভূখণ্ডের একটি আশ্রয়শিবিরে হামলা করে। ইসরায়েলের দাবি, সেখানে মানবিক আশ্রয়ের আড়ালে হামাসের নেতারা ছিলেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজার পুলিশ প্রধানের সহকারী আসলে দক্ষিণ গাজায় হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্বে ছিলেন।

গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানে বিমান হামলায় ১১ জন মারা গেছেন। এছাড়া ফিলিস্তিনের অন্যত্র ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫৭ জন মারা গেছেন

ইসরায়েলের বিমান হামলা হয় আল-মাওয়াসি জেলায়, যা বেসামরিক মানুষের মানবিক ক্ষেত্র বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার পুলিশ বিভাগের ডিজি মাহমুদ শাহওয়ান আশ্রয় শিবিরে গিয়ে আবাসিকদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তখনই বিমান হামলা হয়। তিনি মারা যান।

হামাসকে আগেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং বেশ কয়েকটি দেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এভাবে পুলিসের ডিজি-কে হত্যা করে গাজা ভূখণ্ডে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে বেসামরিক মানুষের কষ্ট আরো বাড়বে। 

ইসরায়েলের সেনার বক্তব্য

ইসরায়েলের সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে. খান ইউনিস শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসিতে এই বিমান হামলা করা হয়েছে গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে। তারা শাহওয়ানকে মারতে চায়নি। তাদের লক্ষ্য ছিল তার সহকারী সালাহ।

ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংগঠন ইউএনআরডাব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ''নতুন বছরের শুরুতেই আমরা আরেকবার বুঝতে পারলাম, গাজায় কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।''

অন্য জায়গায় বিমান হামলা

বৃহস্পতিবার খান ইউনিসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তর ইসরায়েলি হামলায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবির ও শাতি বিচ ক্যাম্প এবং মধ্য গাজার মাঘাজি শিবির ও গাজা শহরে হামলা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৫৭ জন মারা গেছেন বলে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে।

ইসরাযেলের সেনা জানিয়েছে., তারা গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে হামাস সন্ত্রাসীদের উপর আক্রমণ করেছে। খান ইউনিস পুরসভা ভবনের অন্দরেও হামাসের একটি কন্ট্রোল সেন্টার ছিল।

বৃহস্পতিবারের মৃত্যু নিয়ে ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, তারা গাজায় যুদ্ধের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করছে। বেসামরিক মানুষের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেয়া হয়।

সেনার দাবি, হামাস সন্ত্রাসীরা আবাসিক এলাকায় তাদের কন্ট্রোল সেন্টার করে রেখেছে, অফিস করে রেখেছে। হামাস অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আল জাজিরা নিয়ে

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কাতার-ভিত্তিক আল জাজিরা নেটওয়ার্ককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের অভিযোগ, আল জাজিরা উসকানি দিচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ''আল জাজিরা যতক্ষণ ন্যূনতম মিডিয়া নৈতিকতা অনুসরণ না করছে, ততক্ষণ এই নিষেধাজ্ঞা চালু থাকবে।  তারা ইচ্ছে করে ভুল তথ্য দিচ্ছে। তারা সহিংসতাকে বাড়িয়ে চড়িয়ে তুলে ধরছে। সেনা বিদ্রোহের উসকানি দিচ্ছে।''

আল জাজিরা ইসরায়েলেও নিষিদ্ধ।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)