ইয়েমেনে পরপর বিমান হামলা ইসরায়েলের
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা কেবলমাত্র হুতি সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে। তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতেই এই হামলা।
ইসরায়েলের সেনা বাহিনী জানিয়েছে, তারা সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে। ঘটনার পর হুতি আল মাসিরা টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে সানা বিমানবন্দরে। ১১ জন গুরুতরভাবে আহত। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও প্রধান টেড্রস গেব্রিয়েসুস জানিয়েছন, তাদের কয়েকজন কর্মী ইয়েমেনে আটকেপড়েছিলেন। তাদের উদ্ধার করে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু জাতিসংঘের বিমান সানা বিমানবন্দর থেকে উড়তেই পারেনি। তার আগেই ইসরায়েল সেখানে আক্রমণ চালায়। ঘটনায় একজন জাতিসংঘের কর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আপাতত বিমানটি আটকে পড়েছে কারণ, হামলায় রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘের মিশন বন্ধ রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে
ইসরায়েলের সেনা বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনে হুতি অধ্যুষিত অঞ্চলে বৃহস্পতিবার তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর সংগ্রহ করেই এই আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মূলত পশ্চিমের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে আক্রমণ চালানো হয়েছে। ইয়েমেনের যথেষ্ট ভিতরেও প্রবেশ করা হয়েছে।
হুতিরা সানা বিমানবন্দর ব্যবহার করে অস্ত্র সরবরাহ করতো বলে ইসরায়েলের অভিযোগ। সে কারণেই সেখানে আক্রমণ চালানো হয়েছে। এছাড়াও হুতি বিদ্যুৎকেন্দ্রেও আক্রমণ চালানো হয়েছে। একাধিক হুতি ঘাঁটি লক্ষ্য করে বোমা ফেলা হয়েছে বলে ইসরায়েলের দাবি।
যেখানে আক্রমণ করা হয়েছে, সেখান থেকে ইরানকেও অস্ত্র পাঠানো হতো বলে অভিযোগ। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারাও সেখানে যেতেন বলে অভিযোগ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণ বন্ধ করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ইরানকেও জবাব দেওয়া হলো বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)