উত্তর কোরিয়ার কিছু বিরল ছবি
বিশ্বের অন্যতম বিচ্ছিন্ন দেশ উত্তর কোরিয়া৷ সে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বার্তা সংস্থা এপি-র একদল সাংবাদিককে শর্ত সাপেক্ষে ঘুরে বেড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল সরকার৷ ছবিঘরে থাকছে তাদের তোলা কিছু বিরল ছবি৷
নির্জন সড়ক
উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ২৫ হাজার কিলোমিটার সড়কপথ রয়েছে৷ এর মধ্যে সাংবাদিকরা ২,১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক পাড়ি দিয়েছেন৷ ছবির এই রাস্তাটি উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হোয়ানঘায়-এর৷
আগুন ধরিয়ে রান্না
রায়ানগাং রাজ্যের এই ব্যক্তিটি আলু ও মুরগি রান্নার জন্য আগুন ধরিয়েছেন৷ এপি-র সাংবাদিকদের ঘোরাঘুরির শর্ত ছিল তাঁরা কোনো ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না৷ আর ছবি প্রকাশের আগে দেখিয়ে নিতে হবে৷
পূজনীয় পাহাড়
ছবিটি ‘মাউন্ট পেকটু’ নামক পাহাড়ি এলাকার৷ উত্তর কোরীয়রা মনে করেন এই এলাকা থেকেই তাঁদের পূর্বপুরুষরা এসেছেন৷ এছাড়া উত্তর কোরীয় বিপ্লবের সঙ্গেও পাহাড়টির নাম জড়িয়ে আছে৷ সবমিলিয়ে সে দেশের নাগরিকদের কাছে মাউন্ট পেকটু নামেই একটি পূজনীয় স্থান৷
সাধারণ কৃষক
রায়ানগাং রাজ্যের এই কৃষক পরিবার গরু নিয়ে কোথাও যাচ্ছেন৷ সাংবাদিকরা রাজধানী পিয়ংইয়ং ছেড়ে বাইরে যাওয়ার পথে ছবিটি তুলেছেন৷
স্কুলের শিশুরা রাস্তা ঠিক করতে যাচ্ছে
হামগং রাজ্যের এই শিশুরা তাদের এলাকার রাস্তা ঠিক করতে বের হয়েছে৷ পিয়ংইয়ং এবং ওনসান শহরের মধ্যে থাকা ২০০ কিলোমিটার রাস্তা সে দেশের সবচেয়ে ভালো সড়ক৷ এর বাইরে রাস্তাগুলোর অবস্থা ভালো নয়৷
একসময় জমজমাট, এখন ধুলোময়
হামগং রাজ্যের খনিশহর কিলজু ও কিমচাক শহর দুটি একসময় বেশ জমজমাট ছিল৷ কিন্তু আর সে অবস্থা নেই৷
দারিদ্রতা লুকিয়ে রাখা
বার্তা সংস্থা এপি-র সাংবাদিকদের সঙ্গে সবসময় সরকারি কর্মকর্তারা ছিলেন৷ তাই সে দেশের নাগরিকদের আসল অবস্থা পুরোপুরি দেখতে পারেননি তাঁরা৷ তবে যেটুকু দেখেছেন তাতে তাঁদের মনে হয়েছে, বেশিরভাগ মানুষেরই একটা ভালো বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য নেই৷ আর এই ছবির মতো রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া তো দূরের কথা৷
ফুটবল খেলা
রায়ানগাং রাজ্যের হাইসান শহরের এই ছেলেরা নিজের মনে ফুটবল খেলছে৷ বিদেশি একজন তাদের যে ছবি তুলছে সেদিকে নজর দেয়ার যেন সময় নেই৷
স্থানীয় খাবার, বিয়ার
একদল উত্তর কোরীয় তাদের স্থানীয় খাবার ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিয়ার দিয়ে পিকনিকে মেতে উঠেছেন৷
খাদ্য সরবরাহের সংগ্রাম
উত্তর কোরিয়ার চার-পঞ্চমাংশ জমিই চাষের অনুপযোগী৷ তাই দেশের মানুষের জন্য খাদ্যের যোগান দেয়া সরকারের জন্য একটু কষ্টকরই৷
কোনো কথা নয়
সাংবাদিকরা শুধু এই রেললাইনের ছবিই তুলতে পেরেছেন৷ ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি ছিল না৷ সফরের পুরোটা সময় এভাবেই কেটেছে সাংবাদিকদের৷ তারপরও সফর শেষে এক সরকারি কর্মকর্তা তাঁদের জানান, তাঁদের নাকি নজিরবিহীন প্রবেশাধিকার দেয়া হয়েছে!