1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তরাখণ্ড সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনা: উদ্ধারকাজে পদে পদে বাধা

২৭ নভেম্বর ২০২৩

যে যন্ত্রের সাহায্যে উত্তরাখণ্ডে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছিল, তা বিকল হয়ে গেছে। শাবল-গাঁইতি নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে কাজ।

https://p.dw.com/p/4ZTb7
উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধার কাজ
পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের রাস্তা তৈরি হচ্ছেছবি: Francis Mascarenhas/REUTERS

গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার অনেকটাই আশার আলো দেখা গেছিল। মনে করা হয়েছিল, শুক্রবারের মধ্যেই সুড়ঙ্গে আটক ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। তাদের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছিলেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত রাস্তা খোলা যায়নি। যেই প্ল্যাটফর্মের উপর ড্রিলের যন্ত্র রেখে কাজ করা হচ্ছিল, তাতে ফাটল দেখা যায়। নতুন করে ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হয়।

শনিবার উদ্ধারকারীরা জানান, খুব ধীরে ধীরে ধীরে পাইপ বসিয়ে শ্রমিকদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। অ্যামেরিকা থেকে আনা বিশেষ ড্রিল মেশিনের সাহায্যে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু রোববার রাতে সেই যন্ত্রও বিকল হয়ে যায়। যন্ত্রাংশ আটকে যায় পাইপের ভিতরে। সোমবার সকাল আটটা থেকে কাজ করে ওই যন্ত্রাংশ পাইপের ভিতর থেকে বার করে আনা হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, যন্ত্রের সাহায্যে আর ড্রিল করা যাবে না। এবার হাতুড়ি, গাঁইতি, শাবল ব্যবহার করে পাহাড় কেটে পৌঁছাতে হবে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে। ফলে কাজ শেষ হতে আরো বেশ কিছু দিন লেগে যেতে পারে।

বস্তুত, সুড়ঙ্গের উপর থেকেও একটি রাস্তা তৈরির করার চেষ্টা চলছে। সেখানেও কোনো যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না। শাবল-গাঁইতির সাহায্যে ধীরে ধীরে খননকাজ চালানো হচ্ছে, যাতে উপর থেকে ধস না নামে। যদি ওই রাস্তাটি আগে তৈরি হয়ে যায়, তাহলে বাকেট সিটের সাহায্যে আটক শ্রমিকদেরউপরে তুলে নেওয়া হবে। আর যদি নিচের রাস্তাটি আগে তৈরি হয়, তাহলে ৮০০ মিলিমিটার পাইপের ভিতর দিয়ে শ্রমিকদের স্ট্রেচারে করে বার করে আনা হবে। কিন্তু রাস্তা কবে তৈরি হবে, তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট করে কেউ কিছু জানাতে পারছেন না।

এদিকে আটক শ্রমিকদের নিয়মিত খাবার দেওয়া হচ্ছে। পাইপের সাহায্যে তাদের কাছে অতিরিক্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শ্রমিকেরা যাতে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে না পড়েন তার জন্য তাদের অ্যান্টি ডিপ্রেশনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকারীদের বক্তব্য, শ্রমিকেরা এখনো সুস্থ আছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

উদ্ধারকর্মীরা সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের সব চেয়ে বড় ভয়, যে কোনো সময় নতুন করে ধস নামতে পারে। যে উদ্ধারকর্মীরা ভিতরে ঢুকে পাহাড়ের দেওয়াল ভাঙার চেষ্টা করছেন, তাদের নিরাপত্তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সামান্য ঝুঁকিও নেওয়া হচ্ছে না। তবে উদ্বেগ বাড়ছে আটক শ্রমিকদের নিয়ে। ১৫ দিন ধরে তারা সুড়ঙ্গে আটকে। ফলে শেষপর্যন্ত তারা সুস্থ থাকবেন কি না, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়।

সোমবার উদ্ধারকাজ পরিবদর্শনে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সচিব পিকে মিশ্র। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব এস এস সান্ধুও তার সঙ্গে থাকবেন।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)