কাঠমাণ্ডু - সহাবস্থানের শহর

বিশ্বের একমাত্র ‘‌হিন্দু’‌ রাজ্য, যার আরাধ্য দেবতা পশুপতি, অর্থাৎ শিব, এবং স্বয়ম্ভূনাথ, যিনি বৌদ্ধদের পূজা পান৷

জাতকের গল্প অনুসারে, বৌদ্ধ ধর্মের প্রথম পুরুষ যিনি, সেই বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লুম্বিনি৷

হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি নেপালে বিকশিত হয়েছিল তান্ত্রিক আধ্যাত্মিকতার সমান্তরাল ধারা৷

জাতকের গল্প অনুসারে, বৌদ্ধ ধর্মের প্রথম পুরুষ যিনি, সেই বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লুম্বিনি৷

নেপালের রাজশাসনের চিহ্ন মূর্ত হয়ে আছে কাঠমাণ্ডু শহরের কেন্দ্রে দরবার চকের প্রাচীন স্থাপত্যে৷

দরবার চকের রাজকীয় সব ইমারতের সঙ্গেই মিলেমিশে গেছে নেপালের সাধারণ মানুষের জীবন৷

দরবার চকের অনেক বাড়িই একসময় রাজ পরিবারের ব্যবহার্য ছিল৷ সেই বাড়িগুলির আভিজাত্য চিহ্নিত করা আছে এখনও৷

দরবার চকের বহু ঐতিহ্যবাহী ইমারত এখন অব্যবহৃত পড়ে থাকে৷ তার চত্বরে দেখা যায় নির্জনতার খোঁজে আসা তরুণ-তরুণীদের৷

নজর কেড়ে নেয় দরবার চকের বাড়িগুলির স্থাপত্যশৈলী৷ কাঠের কাজের পাশাপাশি রয়েছে পিতল ও অন্যান্য মিশ্র ধাতুর মূর্তি, অলঙ্করণ৷

নেপালের দৈনন্দিন ধর্মাচরণে তিব্বতি সংস্কৃতির প্রভাব খুব স্পষ্ট, বিশেষত তাদের আরাধ্য দেব-দেবীর মূর্তিতে৷

অন্যান্য দেশের মতো নেপালও বদলাচ্ছে৷ স্থাপত্যে সমকালীন হচ্ছে৷ কিন্তু পাশাপাশি থেকে যাচ্ছে তার ঐতিহ্যও৷