‘কান্ট্রি’-পপ গায়িকা শানাইয়া টোয়েনের নতুন বছর, নতুন জীবন
৩ জানুয়ারি ২০১১বিয়েটাও যেন শানাইয়া'র কোনো কান্ট্রি গান থেকে নেওয়া৷ মিউজিক প্রোডিউসার রবার্ট লাঙ্গে'র সঙ্গে শানাইয়া'র ১৪ বছরের বিয়ের অন্ত ঘটে শানাইয়া'র প্রাণের বন্ধু মারি-আন থিবো'র কারণে৷ রবার্ট এবং মারি-আন পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট এবং পরে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন৷ ফলে বছর আড়াই আগে রবার্ট শানাইয়া'কে ছেড়ে মারি-আন'এর কাছে যান৷
ওদিকে মারি-আন'এর স্বামী ফ্রেদ্রিক থিবো'রও তখন অনেকটা শানাইয়া'র মতো অবস্থা - তিনিও ভগ্নহৃদয়৷ কাজেই পরস্পরকে সান্ত্বনা দেওয়া থেকেই জন্ম নেয় প্রেম৷ সেটা ২০০৮ সালের ঘটনা৷ ২০১১-র নববর্ষের দিনে শানাইয়া এবং ফ্রেদ্রিক বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়লেন ক্যারিবিয়ানের পুয়ের্তো রিকো'য়, জনা চল্লিশেক বাছা-বাছা অতিথির উপস্থিতিতে৷ ও হ্যাঁ, ফ্রেদ্রিকের বয়স এখন ৪০ এবং তিনি নেসলে কোম্পানির বড় চাকুরে৷
ওদিকে শানাইয়া তাঁর মেমোয়ার বা স্মৃতিকথা প্রকাশ করতে চলেছেন ২০১১ সালের প্রথমার্ধেই, অন্তত তাঁর প্রকাশক সাইমন এ্যান্ড শুস্টার'এর তা'ই খবর৷ তা'তে নাকি শানাইয়া তাঁর কষ্টের শৈশব এবং কান্ট্রি মিউজিকের পুরুষ-অধ্যুষিত ইন্ডাস্ট্রি'তে তাঁর নিজের জায়গা করে নেওয়ার সংগ্রামের কথা বলবেন৷ বলা দরকার, শানাইয়া'র জন্ম ক্যানাডায়৷ ১৯৮৭ সালে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর বাবা-মা দু'জনেই মারা যান৷ তখন শানাইয়া'কে তাঁর তিনটি ছোট ছোট ভাইবোনের দায়িত্ব নিতে হয়৷
শানাইয়া ২০০২ সালের পরে আর কোনো অ্যালবাম রিলিজ করেননি৷ তিনি নাকি তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং গান গাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন, বলেছেন শানাইয়া৷ অপ্রা উইফ্রে'র নেটওয়ার্কে শানাইয়া'র শো'র উপজীব্য হবে এমন সব মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার, যাঁদের ‘‘সুবৃহৎ মানসিক সংকট, গভীর জীবনসংগ্রামের'' অভিজ্ঞতা আছে৷ তবে কি সমব্যথীদেরই খুঁজছেন শানাইয়া?
না৷ গত ডিসেম্বরেই তাঁর ফ্যানদের জানিয়েছিলেন শানাইয়া: ‘‘আ'য়্যাম ইন লাভ!'' ‘‘একটি আশ্চর্য প্রেম যা মহামূল্যবান বন্ধুত্বে প্রস্ফুটিত হয়েছে৷''
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই