কাপাডোকিয়া : তুরস্কের এক স্বপ্নের শহর
তুরস্কের আনাতোলিয়া অঞ্চলের কাপাডোকিয়ার সৌন্দর্য ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন৷ বিশ্বের অনেক শহরই আকাশ থেকে খুব সুন্দর দেখালেও কাছে গেলে সেই মুগ্ধতা কেটে যায়৷ কাপাডোকিয়া মোটেই সেরকম নয়৷ দেখুন ছবিঘরে...
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি
মধ্য আনাতোলিয়ার এই অঞ্চলটি তুরস্কে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ৷ ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে কাপাডোসিয়া ৷প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন-সমৃদ্ধ কাপাডোকিয়ায় ৩০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দেও মানুষ বাস করতো৷ ওপরে কাপাডোকিয়ায় সূর্যোদয়ের ছবি৷
উন্নত কুটির শিল্প
নেভসেহির গলিতে স্যুভেনিরের দোকানের পাশে একটা কার্পেটের দোকান৷ কার্পেটগুলোর কারুকার্য দেখলেই বোঝা যায়, সে অঞ্চলের কুটির শিল্প কতটা উন্নত৷
গোরেমের চমৎকার সৌন্দর্য
একটা ন্যাশনাল পার্কের মাঝখানে এই গোরেম শহর৷ পর্যটকদের জন্য খুব আকর্ষণীয় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে৷ সেগুলো কত সুন্দর সে সম্পর্কে ধারণা নিতে ওপরের ছবিটি একটু দেখুন!
চিমনির আলোয় ভাসমান রূপকথার জগত
গরম বাতাসে ওড়ানো বেলুনে চড়ে কাপাডোকিয়া ঘুরে দেখা এক দারুণ অভিজ্ঞতা৷ বিশেষ করে সূর্যোদয়ের সময় বেলুন থেকে চিমনির আলো আর সূর্যের লাল আভার মিশ্রনে কাপাদোসিয়া যেন এক রূপকথার দেশ৷
জনপ্রিয় শুটিং স্পট
কাপাডোকিয়ার সৌন্দর্য ভিডিওগ্রাফারদেরও আকৃষ্ট করছে৷ ওপরের ছবিতে মডেলকে ক্রেন দিয়ে উঁচুতে তুলে চলছে শুটিং৷
লাভ ভ্যালি: প্রকৃতির শিল্প
ন্যাশনাল পার্ক এবং আশপাশের পাথুরে ল্যান্ডস্কেপ দর্শকের মনে বিস্ময় জাগায়৷ পাথর খোদাই করে কে, কিভাবে গড়লো এসব? লাভ ভ্যালি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এ অঞ্চলের পাথুরে অবয়বের অনেকটাই কিন্তু গড়ে দিয়েছে প্রকৃতি৷ হ্যাঁ, সেখানকার আবহাওয়া, বিশেষ করে কয়েক হাজার বছরের দমকা হাওয়ার প্রভাবে পাথরের চেহারায় এই পরিবর্তন এসেছে৷
এক সময়ের আত্মগোপনের স্থান
তিনশ শতকের দিকে নির্যাতনের শিকার হয়ে খ্রিষ্টানরা এই অঞ্চলে গিয়ে পাথুরে ভূমিতে গড়ে তুলেছিলেন বাড়ি-ঘর, গীর্জা ইত্যাদি৷
মাটির নীচে স্থাপত্য
মাটির নীচে বিরল সব স্থাপত্যের নিদর্শন পাওয়া যায় সেখানে৷ পাথুরে ভূমি খুঁড়ে তৈরি করা প্রাচীন গুহাগুলোও খুব সুন্দর৷