কোরীয় সীমান্তে গার্ড পোস্ট ধ্বংস
অসামরিকীকৃত সীমান্ত অঞ্চলে ১০টি গার্ড পোস্ট উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে এ বছরের শুরুতে করা এক চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নিলো দেশটি৷
চার মিনিটের যজ্ঞ
দক্ষিণকে আগেই এই ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করেছে উত্তর৷ চার মিনিটের মধ্যে একে একে গার্ড পোস্টগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ গত দুই সপ্তাহ জুড়ে ইটের তৈরি বেশকিছু গার্ড পোস্ট একে একে ধ্বংস করেছিল উত্তরের সেনারা৷ কিন্তু এবারই প্রথম একসাথে একাধিক পোস্ট ধ্বংসের উদ্যোগ নিলো দেশটি৷
ডেডলাইন নভেম্বর
৩০ নভেম্বরের আগেই সীমানা জুড়ে সব পোস্ট ভেঙে ফেলতে রাজী হয়েছিল দুই পক্ষ৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, এই তারিখকে সামনে রেখে অচিরেই এমন আরো কিছু উদ্যোগ নিতে পারে দেশটি৷
এগিয়ে এসেছে দক্ষিণও
দক্ষিণ কোরিয়াও কংক্রিটের তৈরি ১০টি গার্ড পোস্ট ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে৷ তবে উত্তরের মতো বিস্ফোরক ব্যবহার না করে তাঁরা ব্যবহার করছে বুলডোজার এবং এক্সকাভেটর৷
ফিরছে শান্তি
গার্ড পোস্ট ভাঙার পাশাপাশি দুই কোরিয়া এরই মধ্যে আরো বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে৷ পানমুনজম এলাকায় যৌথ নিরাপত্তা এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ সেনা উপস্থিতি কমিয়ে আনা হয়েছে ৩৫ জনে৷ তবে এই ৩৫ সেনাও কোনো অস্ত্র বহন করতে পারবেন না৷
খুলছে পর্যটনের দুয়ার
এতদিন সীমান্ত এলাকা বহিরাগতদের জন্য ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ৷ তবে সামনের মাস থেকে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে পানমুনজম৷ গাইড সাথে নিয়ে যে কেউই চাইলে ঘুরে আসতে পারবেন দুই কোরিয়ার সীমানায় অবস্থিত ঐতিহাসিক এই এলাকা৷
কমছে না সন্দেহ
উত্তর কোরিয়া অন্য যে-কোনো সময়ের চেয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনেক এগিয়ে এলেও সিউলের সন্দেহ কমছে না৷ পরমাণু অস্ত্র নিষ্ক্রিয়করণে কার্যকর ভূমিকা না রাখলে অন্য উদ্যোগগুলোও লোকদেখানোই হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের দ্বিতীয় দফার বৈঠকের সাফল্যের ওপরও নির্ভর করছে অনেক কিছুই৷