খরগোশের হাত ধরে চীনা নতুন বছর শুরু
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১চীনা ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছর ১২টি প্রাণীর কোনো একটিকে বেছে নেওয়া হয়৷ খরগোশ হচ্ছে এর মধ্যে চতুর্থ প্রাণী৷ তবে এই খরগোশের রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব৷ যেমন আজ ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি ২০১২ সালের মধ্যে কেউ যদি জন্মায়, তার রাশি শুধু খরগোশ হবে না, হবে ধাতব খরগোশ অর্থাৎ মেটাল ব়্যাবিট৷
বেইজিং-এ আনন্দ উৎসব এবং বিভিন্ন ধরণের আতশবাজির মধ্যে দিয়ে স্বগত জানানো হয় ২০১১ সালকে, স্বাগত জানানো হয় ‘দ্য ইয়ার অফ দ্য ব়্যাবিটকে'৷ এই উৎসবে শুধু বাজির জন্যই খরচ করা হয়েছে প্রায় কুড়ি হাজার ইউয়ান৷
এবার নজর দেয়া যাক খরগোশের দিকে৷ চীনা ক্যালেন্ডারে খরগোশের সঙ্গে পাঁচটি মৌলিক বস্তু জড়িয়ে রয়েছে – পানি, কাঠ, আগুন, মাটি এবং ধাতু৷
রাশি অনুযায়ী বলা হচ্ছে, খুব শান্তভাবে কাটবে এই ২০১১ সালটি৷ কারণ গত বছরটা ছিল টান টান উত্তেজনায় ভরা৷ তাই এ বছর খুব শান্ত থাকতে হবে, অতীতের ভুলগুলোকে শুধরে নিতে হবে৷ বলা প্রয়োজন, গত বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন চীনের লিউ জিয়াবাও৷ তিনি পুরস্কার গ্রহণ করতে আসতে পারেননি অসলোয়৷ সমালোচনার মুখে পড়েছিল চীনা সরকার৷ এরপরই এসেছিল দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা৷ চীন নিঃশব্দে সমর্থন করেছিল উত্তর কোরিয়াকে৷
তাই এ বছরও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রাধান্য দেওয়া হবে৷ তবে খরগোশ যেহেতু খুব আরামপ্রিয় প্রাণী তাই অনেকেই ঝুঁকে পড়বেন আলসেমির দিকে৷ আর্থিক দিক থেকে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে৷ বিলাসিতায় সময় কাটানো যাবে৷ খুব সহজেই অন্যের মুখে হাসি ফোটানো যাবে৷
যে বা যারা এই বছরে জন্মাবে বলা হচ্ছে, তারা দীর্ঘায়ু লাভ করবে৷ চন্দ্রের খুব তীব্র প্রভাব থাকবে তাদের উপর এবং তা অবশ্যই শুভ লক্ষণ৷ আর কী? খরগোশ কীসের প্রতীক? উদারতা, শান্ত-প্রকৃতি, সদ্ব্যবহার, বিচক্ষণতা, সংবেদশীলতা এবং সৌন্দর্য্যের৷ ‘‘আমি খরগোশ পছন্দ করি না'' – এই কথা এখন পর্যন্ত কেউ বলেছে কী?
ঘুরে ফিরে এই খরগোশ গুরুত্ব পাবে আবারো ২০২৩ , ২০৩৫ এবং ২০৪৭ সালে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন