খরা আর দাবানলের ইউরোপ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতর হয়ে উঠছে ইউরোপ৷ ফলে খরা আর দাবানল যেন এখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠছে৷
সাধারণ তথ্য
গতবছর ইউরোপের ৩৫টি দেশে গরম সংশ্লিষ্ট অসুখে ৬১ হাজার ৬০০ জন মারা যান৷ ২০২১ সালের আগস্টে ইটালির সিসিলিতে তাপমাত্রা ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল- যা ইউরোপের সর্বোচ্চ৷
ক্রোয়েশিয়া
১৩ জুলাই উপকূলীয় শহর সিবেনিকে দ্রুত দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল৷ ২৫ জুলাই পর্যটন নগরী ডুবরোভনিকে আরেকটি দাবানল শুরু হয়েছিল৷ দুটোই খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়৷
সাইপ্রাস
উত্তরের লিমাসলের এক বনে ৬ আগস্ট আগুন লেগেছিল৷ এরপর তা দ্রুত পাহাড়ি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে৷ সতর্কতা হিসেবে তিনটি কমিউনিটির বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে হয়েছিল৷ উপরের ছবিটি ২০২১ সালের৷
ফ্রান্স
পুরো দেশজুড়েই বিভিন্ন জায়গায় ছোট আকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ এপ্রিলের মাঝামাঝি ফ্রান্সের জিওলজিক্যাল সার্ভিস বিআরজিএম জানিয়েছিল, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নীচে নেমে যাওয়ায় এবার গ্রীষ্মে দক্ষিণাঞ্চলে গতবছরের চেয়ে বেশি খরা দেখা দিবে৷
গ্রিস
রোডস দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে মধ্য জুলাইয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল৷ দাবানলের কারণে ২৫-২৬ জুলাই রাতে করফু দ্বীপেও মানুষজনকে সরাতে হয়েছে৷ রাজধানী এথেন্সের ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ১৭ জুলাই দাবানল হয়েছিল৷ এথেন্সের দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিমেও ছোটখাটো দাবানল হয়েছে৷
ইটালি
১৮ জুলাই ২৭টি প্রধান শহরের মধ্যে ২০টিতে লাল অ্যালার্ট জারি করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ রাজধানী রোমে তাপমাত্রা ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল, যা এক নতুন রেকর্ড৷
পর্তুগাল
ওডেমিরা অঞ্চলে ৫ আগস্ট দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল৷ পাঁচদিন পর তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়৷ এক পর্যায়ে দাবানলটি পর্তুগালের শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য আলগার্ভের কিছু অংশকেও স্পর্শ করেছিল৷ দাবানলে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ তীব্র গরমের কারণে দেশটির ১২০টি পৌরসভাকে দাবানলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ৷
স্পেন
লা পালমা দ্বীপে ১৫ জুলাই দাবানল হয়েছিল৷ অন্তত চার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হয়েছিল৷ জুলাই মাসের শেষে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল৷ ২০২৩ সালের প্রথম চার মাস রেকর্ড শুষ্ক ছিল৷
সুইজারল্যান্ড
আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ১৭ জুলাই কর্তৃপক্ষ ইটালি সীমান্তে অবস্থিত কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামের প্রায় ২০০ মানুষকে নিরাপদে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল৷ ছবিটি গতবছরের৷
তুরস্ক
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের হাতায় ও মারসিন রাজ্য এবং উত্তর-পশ্চিমের চানাকালে রাজ্যে ১৬ জুলাই দাবানল শুরু হয়েছিল৷ ছবিটি গতবছরের৷