'ঘোড়া থেরাপি'-তে আশা দেখছে গ্রিস
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ঘোড়া শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। জেন্টাল ক্যারোসেল গ্রিস দেখাচ্ছে কীভাবে প্রাণীর সান্নিধ্য ও ছোট ছোট অঙ্গভঙ্গি মনে প্রভাব ফেলে।
করিডোরে একটি ঘোড়া
জোসিফিনার মুখে হাসি ছড়িয়ে পড়ে যখন সে ছোট্ট ঘোড়া আইভিকে আদর করে। একটি গোলাপী হুইলচেয়ারে ৯ বছর বয়সি মেয়েটি তার স্কুলের হলওয়ে দিয়ে আইভিকে নিয়ে যায়। আইভি এবং তার সঙ্গী ক্যালিপসো দুটি ছোট্ট ঘোড়া জোসিফিনার স্কুলে বেশ আনন্দ নিয়ে আসে।
মিনা এবং ছোট্ট ঘোড়া
জেন্টাল ক্যারোসেল গ্রিসের প্রতিষ্ঠাতা মিনা কারাগিয়ান্নি দুটি ছোট্ট ঘোড়ার সঙ্গে পার্কে ঘুরছেন। তিনি ২০১৪ সালে ‘জেন্টাল ক্যারোসেল গ্রিস’ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল সংস্থার কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি গ্রিসে মোট ছয়টি প্রশিক্ষিত ছোট্ট ঘোড়া নিয়ে এসেছিলেন। তার লক্ষ্য- কঠিন পরিস্থিতিতে শিশুদের জন্য আনন্দ নিয়ে আসা।
চার পায়ের বন্ধুদের বিশ্বাস
হোমার ও হারকিউলিসও জেন্টাল ক্যারোসেল গ্রিসের হাসপাতাল, কেয়ার হোম ও স্কুলগুলিতে থেরাপি দিতে যায়। মাত্র ৭৫ সেন্টিমিটার লম্বা এই ঘোড়াগুলিকে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক সমর্থন দেয়ার জন্য দু'বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
সংকটাপন্ন জাদুর বাগান
কারাগিয়ান্নি একটি ‘ম্যাজিক গার্ডেন’ তৈরি করেছিলেন। এখানেই ক্ষুদ্রাকৃতির ঘোড়াগুলো বাস করে। এখানে একটি ক্যাফেও ছিল৷ তবে করোনা মহামারি সবকিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে। কোভিড-১৯-এর কারণে ক্যাফেটি বন্ধ করে দিতে হয়।
ভালোবাসায় নিরাময়
জোসিফিনার এক সহপাঠী হাত দিয়ে আইভিকে আলতো করে আদর করছে। আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও ‘জেন্টাল ক্যারোসেল গ্রিস’ ২০১৪ থেকে ১২,০০০-এরও বেশি শিশুর কাছে পৌঁছেছে। স্কুল এবং হাসপাতালে যাওয়া ঘোড়াগুলোর নিরাময়েও প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু কারাগিয়ান্নি ভাবছেন তিনি কতদিন নিজের মতো করে সংগঠনটি চালিয়ে যেতে পারবেন।
ঘনিষ্ঠতার শক্তি
ঘোড়ার সঙ্গে থেরাপি ইকুইন-অ্যাসিস্টেড থেরাপি (ইএটি) নামে পরিচিত। ইএটি দেখাচ্ছে ঘোড়ার সাথে মিথস্ক্রিয়া ইতিবাচক শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক প্রভাব ফেলে। শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক সবার মাঝেই ঘোড়াগুলো একটি ছাপ রেখে যায়। আইভির সম্পর্কে একজন বলছিলেন, "যখন সে এখানে না থাকে, তখন আমি নিজেকে বেশ শূন্য মনে করি।"