জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে
মিশরে চলছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭৷ এবার প্রথমবারের মতো মূল এজেন্ডায় ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ নামের নতুন এক ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠনের আলোচনা জায়গা করে নিয়েছে৷
জীবাশ্ম জ্বালানি ও পেছন ফেরা
গতবছরের গ্লাসগো সম্মেলনে প্রথমবারের মতো কয়লা উৎপাদন কমাতে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ভর্তুকি কমাতে দেশগুলো একমত হয়েছিল৷ কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ কয়লা উৎপাদন পুনরায় শুরু করেছে কিংবা কারখানা বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়েছে৷ চীন নতুন কয়লা খনির অনুমোদন দিয়েছে৷ ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া কয়লা উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে৷
ক্ষতিপূরণ তহবিল
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ক্ষতিপূরণের জন্য একটি নতুন তহবিল গঠনের প্রচেষ্টা অবশেষে আলোর মুখ দেখেছে৷ ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ নামের এই তহবিল গঠনের বিষয়টি এতদিন সম্মেলনের মূল এজেন্ডাতেই রাখতে চায়নি উন্নত বিশ্বের কয়েকটি দেশ৷ তবে এবার মিশর সম্মেলনে সেটি আলোচিত হচ্ছে৷
উষ্ণতর বিশ্বের সঙ্গে অভিযোজন
২০০৯ সালে উন্নত বিশ্ব প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার করেছিল৷ যদিও কোনো বছরই সেটি পূরণ হয়নি৷ ২০২০ সালে ৮৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়েছিল৷ এই তহবিলের এক-চতুর্থাংশ টাকা উষ্ণতর বিশ্বে বসবাসের জন্য মানুষকে প্রস্তুত করতে খরচ করা হচ্ছে৷ নিম্ন আয় ও ক্লাইমেট ভালনারেবল দেশগুলো এই হার দ্বিগুন করতে চায়৷ এছাড়া ২০২৫ সালের পর থেকে বার্ষিক তহবিলের (১০০ বিলিয়ন থেকে) পরিমাণও বাড়াতে চায় তারা৷
বিশ্বব্যাংকের ‘মৌলিক সংস্কার’
গতমাসে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশওয়ারী ব্যবস্থার পরিবর্তে বৈশ্বিক স্তরে সমাধান খোঁজার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি৷
দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা
গত সম্মেলনে দেশগুলোকে তাদের জাতীয় কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি বা এনডিসি হালনাগাদ করতে বলা হয়েছিল যেন তাপমাত্রা বৃদ্ধির সীমা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা সম্ভব হয়৷ কিন্তু গতমাসে জাতিসংঘ জানায় যে, মাত্র ২৪টি দেশ তাদের এনডিসি হালনাগাদ করেছে৷