জার্মানিতে বসন্ত

যাঁরা স্কি খেলতে কিংবা হাইকিং করতে ভালোবাসেন, তাঁরা আল্পস পাহাড়ের উচ্চতায় – যেমন জার্মানির এই সর্বোচ্চ পাহাড়ে – বসন্ত আসার আগেই রোদ ঝলমল আবহাওয়া উপভোগ করতে পারেন৷ মার্চ মাসে সূর্যকিরণের তীব্রতা বাড়ে, তাই সানবার্ন-এর বিপদ থাকে; তবে ইউরোপের মানুষ আবার সূর্যস্নান করে খানিকটা বাদামি হতে পারলে ভারি খুশি...

কন্সটানৎস হৃদের তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ হলো এই মাইনাউ৷ হৃদের তিনদিকে তিন দেশ: জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়া৷ মাইনাউ তার ফুলের কেয়ারিগুলোর জন্য বিখ্যাত, যা প্রতি বসন্তে বহু পর্যটককে টানে৷

বাভারিয়া মানেই বিয়ার এবং বিয়ার গার্টেন: অর্থাৎ খোলামেলায় বসে বিয়ার পান করা যায়, এমন রেস্তোরাঁ৷ বাভারিয়ার রাজধানী মিউনিখের ইংলিশ গার্ডেনেও দেখা যাবে সেই দৃশ্য, যদি অবশ্য বসন্ত এসে থাকে – অথবা আসব-আসব করে! বলতে কি, বাকি জার্মানিতেও আজ বিয়ার বাগানের কোনো অভাব নেই...

সরকারিভাবে বসন্ত শুরু হয় ২০শে মার্চ তারিখে৷ দিনগুলো যখন বড় হতে শুরু করে৷ পশ্চিম ইউরোপে বসন্ত ঋতু হলো মার্চ, এপ্রিল এবং মে, এই তিন মাস জুড়ে৷ তবে পথেঘাটে চেরি গাছে থোকা থোকা গোলাপি ফুল ধরে থাকতে এখনও কিছু দেরি৷

ড্যুসেলডর্ফ শহরে রাইন নদের ধারের গাছগুলোতে এখনো নতুন পাতা ধরেনি৷ এই ‘প্লেন’ গাছগুলোর ডালপালা হেমন্তে কিছুটা ছেঁটে দেওয়া হয়, যাতে বসন্তে নতুন পাতা ভরে আসে৷ শহরের মানুষ বছরের প্রথম উষ্ণ দিনগুলিতে রাইনের ধারে হাঁটতে বেরোন৷ এছাড়া নৌকাবিহার করারও ব্যবস্থা আছে৷

ড্রেসডেন একটি দেখার মতো শহর: এলবে নদীর ধারে শহরের কেন্দ্রে ব্যারোক স্থাপত্যের নানা নিদর্শন, অপরপারে নতুন নতুন বার, রেস্টুরেন্ট আর ছোট ছোট ফ্যাশনেবল দোকানের কোনো অভাব নেই৷ বসন্ত এলেই পথেঘাটে মানুষের ভিড়৷

জার্মানির রাজধানীর কাফেগুলিতে এখনও অতিথিদের পা ঢাকার জন্য কম্বল রাখা আছে – কেননা বেশ ঠান্ডা৷ কিন্তু গরম যত বাড়বে, ততই পর্যটকরা বার্লিনে এসে চমৎকার রোদে উন্টার ডেন লিন্ডেন বুলেভার্ডে উইন্ডো-শপিং করবেন৷

রোদ থাকলে, হামবুর্গ বন্দরের কাছে এলবে নদীর তীরে ‘নগর-সৈকতে’ মানুষের মেলা৷ ট্রাকে করে বালি এনে এই ‘বেলাভূমি’ তৈরি করা হয়েছে৷

বাল্টিক সাগরের তীরে বাতাস ততটা জোরে বয় না, যেমন উত্তর সাগরের তীরে বয়৷ কাজেই উত্তর সাগরের সৈকতাবাসগুলির চেয়ে বাল্টিকের সৈকতাবাসগুলিতে ‘বিচ চেয়ার’ অনেক আগে থেকেই দেখা দেয়৷ বহু মানুষ বালটিকের এই প্রাক-বসন্ত নির্জনতা উপভোগ করেন৷