ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর অভিনব 'দুর্নীতি'
৩ মে ২০২২মন্ত্রিসভায় একাধিক দপ্তর তার হাতে। আর সেই সুযোগের অপব্যবহার করে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি নিজেই নিজেকে খনি পাইয়ে দিয়েছেন এবং সেই খনির দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্রও তিনি নিজেই নিজেকে দিয়েছেন।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে সমস্ত বড় দপ্তর রেখেছেন। যার মধ্যে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ যেমন আছে, তেমনই আছে খনিজ সম্পদ, পরিবেশের মতো দপ্তর। নিজের সম্পত্তি বাড়ানোর জন্যই তিনি একাজ করেছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি জানা গেছে, খনি অঞ্চল ঝাড়খণ্ডের একটি বড় খনি অত্যন্ত কম দামে নিলামে তোলা হয়। খনিজ দপ্তরের মন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গোপনে সেই নিলাম ডাকেন এবং তা কেনেন ব্যবসায়ী হেমন্ত সোরেন। এরপর ব্যবসায়ী হেমন্ত সোরেন পরিবেশ দপ্তরে ওই খনির ছাড়পত্র চেয়ে দরখাস্ত করেন। দ্রুত সেই ছাড়পত্র দিয়ে দেন পরিবেশমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
ভারতীয় নির্বাচনী আইনের নিয়ম অনুযায়ী কোনো জনপ্রতিনিধি এমন কাজ করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন আইনের ১৯২ ধারা এতে লঙ্ঘিত হয় বলে অভিযোগ। বস্তুত, হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে সেই ধারায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার তৈরি করেছেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই দুর্নীতির অভিযোগ বাইরে আসার পরে তার সরকার আর বেশিদিন টিকতে পারবে না। বস্তুত এর আগেও ঝাড়খণ্ডে এমন ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়াকেও গদি ছাড়তে হয়েছিল।
হেমন্তের বাবা শিবু সোরেন ঝাড়খণ্ডের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন। ১৯৯৩ সালে কেন্দ্রের যখন নরসিমহা রাওয়ের সরকার, তখন তিনি সরকারের পক্ষে ভোট দিতে এক কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বস্তুত, সোরেন পরে স্বীকার করেছিলেন যে, কেন্দ্রের সরকার বাঁচাতে ওই টাকা তিনি নিয়েছিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বহু আলোচনা হয়েছে। শাস্তিও পেয়েছেন শিবু।
বিরোধীদের দাবি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সেই ট্র্যাডিশনই বজায় রেখেছেন হেমন্ত।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, ইন্ডিয়া টুডে)