থাইল্যান্ডের কুমির খামার
থাইল্যান্ড রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কুমিরের খামার, যা হয়ে উঠেছে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র৷ যেখানে উঁকি দিলেই দেখা যাবে কুমির আয়েশে শরীর এলিয়ে দিয়েছ রোদে, মুরগি চিবাচ্ছে, সবুজ পুলে সাঁতার কাটছে৷
দেশজুড়ে হাজারো খামার
মৎস্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুসারে থাইল্যান্ডে হাজারের বেশি কুমিরের খামার রয়েছে৷ অনেকগুলোর সঙ্গেই রয়েছে জবাইখানা এবং ট্যানারি৷ যেখান থেকে বিলাসবহুল পণ্য উৎপাদন করা হয়৷
৩৫ বছর ধরে কুমিরের ব্যবসা
শ্রী আয়ুথায়া কুমির খামার দেশটির সবচেয়ে বড় খামারগুলোর একটি৷ এটা ৩৫ বছরের পুরনো৷
এক খামারেই দেড় লাখ কুমির
এই খামারের কুমিরের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ৷ এর মালিক উইচিয়ান রুয়েঙ্গনেট বলেন, আমাদের খামারে সব কিছু রয়েছে৷ এটা মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে৷ যা দেশের জন্য আয়ের পথ তৈরি করে৷
আছে রপ্তানির অনুমতিও
শ্রী আয়ুথায়া খামারটি বন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিপদাপন্ন প্রজাতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক কনভেনশন সিআইটিইএসে নিবন্ধিত৷ ফলে আইনগতভাবেই খামারটি শ্যামদেশীয় স্বাদুপানির কুমির রপ্তানি করতে পারে৷ যার প্রধান ক্রেতা চীন৷
একের ভেতর সব
উইচিয়ান বলেন, একটা কুমিরের বাচ্চাকে লালন পালন করে বড় করা, পরিণত বয়সে বধ করা, ট্যানারিতে নিয়ে যাওয়া, পণ্য উৎপাদন করা এবং সেই পণ্য রপ্তানি করা-সবকিছুই আমরা করি৷
কুমিরের চামড়া বিলাস পণ্য
উইচিয়ান বলেন, কুমিরের চামড়ার পণ্য বেশ দামি৷ একটা বিরকিন স্টাইলের একটা হ্যান্ডব্যাগ ২৩৫৬ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিক্রি হতে পারে৷ সুট বিক্রি হয় ৫ হাজার ৮৮৫ডলার পর্যন্ত৷
ফেলনা নয় পিত্ত-রক্তও
প্রতি কেজি কুমিরের মাংস বিক্রি হয় প্রায় ৯ মার্কিন ডলারে৷ পিত্ত এবং রক্তও ফেলনা নয়৷ পিত্তের কেজি প্রায় ১,১৭৬ মার্কিন ডলার এবং রক্তের কেজি প্রায় ১৫ মার্কিন ডলার৷
রপ্তানিতে ধস
তবে কুমিরের চামড়ার পণ্য রপ্তানি কিছুটা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ ২০১৫ সালে যেটা ছিল এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ সেটা কমে ২০১৬ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৭৮ মার্কিন ডলার৷ দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য দিয়েছে৷
বাড়তি বিনোদন
চিড়িয়াখানায় কুমিরকে ঘিরে আরো নানাবিধ বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে৷ এখানে কুমিরের সঙ্গে খেলতে গিয়ে মুখের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি৷