থাইল্যান্ডের রাস্তার খাবার
থাইল্যান্ডের পথের ধারের খাবার তার স্বাদে বিশ্ববিখ্যাত৷ কিন্তু ব্যাংকক নগর প্রশাসন সদ্য এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাস্তায় আর কোনো খাবারের দোকান থাকবে না৷ তা হলে কি থাইল্যান্ডের এই সড়ক ঐতিহ্যের অবসান ঘটতে চলেছে?
সচল দোকান
ঠেলাগাড়িতে খাবারের দোকান৷ রাস্তায় দাঁড়িয়েই রান্না, রাস্তাতেই পেট পুরে খাওয়া৷
তেষ্টা মেটাতে
ফলের রস থেকে বিয়ার, অথবা বিশুদ্ধ জল, সব ধরনের পানীয়ই মজুত রাস্তায় ঘোরা গাড়িতে৷
থাই কাবাব
চোখের সামনে বানিয়ে দেবে চটপটে, অথচ সুস্বাদু থাই কাবাব৷ মুরগি এবং নানাবিধ মাছের৷
রাস্তার রান্নাঘর
ফুটপাথে চেয়ার-টেবিল পেতে খাওয়ার ব্যবস্থা৷ আর রান্নার জায়গাও রাস্তার পাশেই৷ সব আধুনিক সরঞ্জাম সমেত৷
খাদ্যসম্ভার
নিরামিষ এবং আমিষের কত রকমের পদ যে হতে পারে, থাইল্যান্ডের রাস্তার রেস্তোরাঁয় না গেলে জানা যায় না৷
প্রাত্যহিকী
থাইল্যান্ডের শহরগুলোয় অনেকেই দিনে-রাতে খাওয়া সারেন রাস্তার দোকানে৷
সপ্তাহান্তে
শনি-রবিবার বসে সপ্তাহান্তিক সুখাদ্য মেলা, যার আয়োজন আরও ব্যাপক এবং বিচিত্র৷
মিষ্টান্ন বাহার
বাঙালিদের মতো থাইরাও খুব মিষ্টি খেতে ভালোবাসে৷ তাই সব খাবারের সঙ্গে শেষপাতের মিষ্টির আয়োজন থাকবেই৷
পর্যটকপ্রিয়
থাইল্যান্ডের রাস্তার খাবার পর্যটকদের, বিশেষত বিদেশি পর্যটকদের খুবই প্রিয়৷ সবাই খান, নির্ভয়ে৷
সামুদ্রিক
থাই খাবারের মধ্যে বিশেষ প্রসিদ্ধি তার সামুদ্রিক খাবারের, যেমন, চিংড়ি মাছ৷ টাটকা চিংড়ি চোখের সামনে আগুনে ঝলসে দেওয়া হয়৷
মেছোহাটা
নানা ধরনের মাছও পাওয়া যায় রাস্তার ধারের দোকানে৷ পছন্দেরটি বেছে নিলেই হলো৷
খাদ্যবিলাসী
থাইল্যান্ডের নাগরিক জীবনযাত্রায় এই সুখাদ্য, তাই এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ ওরা খেতে ভালোবাসেন৷
বৈচিত্র্যপ্রিয়
স্কুইড, অক্টোপাস থেকে ঝিনুক, গেঁড়ি-গুগলি, সব ধরনের খাবার জায়গা পায় থাই রন্ধনশালায়৷
এবার শেষ?
স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটক, সবার সমান পছন্দের এই রাস্তার খাবারের সংস্কৃতির কি এখানেই শেষ? প্রশাসন তো সেরকমই ঠিক করেছে!