দিনাজপুরে সুফি মুসলিমকে গুলি ও জবাই করে হত্যা
১৪ মার্চ ২০১৭স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ৫৫ বছর বয়সি ফরহাদ হোসেন চৌধুরী এবং তাঁর তরুণী গৃহকর্মীকে গুলি করে এবং জবাই করে হত্যা করা হয়েছে৷ রাজধানী ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে দিনাজপুরে তাদের বাড়িতে ঢুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা৷
‘‘আমরা হত্যাকারীদের এখনো শনাক্ত করতে পারিনি'', বলেন স্থানীয় পুলিশ প্রধান আরজু মোহাম্মদ৷ তবে উগ্র ইসলামপন্থিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷
পীর চৌধুরীকে হত্যার দায় অবশ্য কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এখনো স্বীকার করেনি৷ তবে ১৬ কোটি মানুষের দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাস্তিক ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট, অধ্যাপক এবং সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ গতবছর পহেলা জুলাই ঢাকার গুলশানে একটি ক্যাফেতে উগ্র ইসলামপন্থিদের হামরায় প্রাণ হারান অন্তত ২২ ব্যক্তি, যাদের অধিকাংশই বিদেশি৷
আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়দা এবং ইসলামিক স্টেট এ সব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও বাংলাদেশ সরকার মনে করে স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো এ ধরের হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে৷ আর গুলশান হামলার পর বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন জঙ্গি পুলিশের অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে৷
এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে একটি উগ্রপন্থি ইসলামি সংগঠনের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ একসময় নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসি দাবি করা হেয়াজতে ইসলামের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের সম্পর্ক রাখার বিষয়টিকে ‘বিপজ্জনকা কৌশল' আখ্যা দিয়ে মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের উচিত সাধারণ জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা, কোনো উগ্রপন্থি ইসলামি দলের প্রতি নয়৷''
উগ্রপন্থি সংগঠনটির সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সম্পর্ককে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এক ধরনের সমঝোতা বলে মনে করা কামাল বলেন, ‘‘(বর্তমান ক্ষমতাসীন দলটি) যেভাবে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ফিরে এসে আওয়ামী লীগ হয়েছিল, এখন যেন তারা আবার আওয়ামী মুসলিম লীগে পরিণত না হয় সেটাই প্রত্যাশা করছি৷''
এআই/ডিজি (রয়টার্স)