পুনে শহরে হামলা
২ আগস্ট ২০১২ফের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মহারাষ্ট্রের পুনে শহরের ব্যস্ততম জংলি মহারাজ রোড এলাকায়৷ পর পর তিনটি এবং চতুর্থটি একটু দূরে গারওয়ার রোডে৷ তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল কম৷ বোমাগুলি রাখা ছিল সাইকেলে এবং ডাস্টবিনে৷ দুটি বোমা রাখা ছিল একটি বহুজাতিক ফুড চেনের দোকানের কাছে৷ সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে দেয় অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াডের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড৷ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব আর. কে সিং সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে বলা যায় এটা একটা পরিকল্পিত কাজ৷ রাত সাড়ে সাতটা থেকে সোয়া আটটা – এই ৪৫ মিনিটের মধ্যে ৫০০ মিটার এলাকায় পর পর চারটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে৷
এই বিস্ফোরণের পেছনে কোন জঙ্গি সংগঠন জড়িত, তা নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা না গেলেও জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ এবং গোয়েন্দা বিভাগের সন্দেহ নিষিদ্ধ সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং তার সহযোগী গোষ্ঠী সিমির দিকে৷ যে দুটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়, সেগুলি ছিল সিসিটিভি ক্যামেরার নীচে৷ কিন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ না করায় পুলিশ কোনো সূত্র পায়নি৷ পুনে বিস্ফোরণের পর দেশের ১৪টি বড় শহরে লাল সতর্কতা জারি করা হয়৷ দিল্লির সীমান্ত সিল করে দেয়া হয়৷ রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয় ব্যারিকেড৷ এছাড়া, আন্না হাজারের অনশন মঞ্চের আশপাশে নিরাপত্তা এবং তল্লাসি বাড়ানো হয়েছে৷
উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই বছর আগে জার্মান বেকারি বিস্ফোরণের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও হারিয়ে যায়নি৷ ঐ বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিল ১০ জন৷ সম্প্রতি ধরা পড়া সন্ত্রাসী আবু জিন্দলকে জেরা করে গোয়েন্দারা পুনেতে সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনার কথা জানতে পারেন৷
ঐ এলাকার একটি সাইকেল দোকানের মালিক এবং কর্মচারিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে৷ মনে করা হচ্ছে, বিস্ফোরণের কাজে ব্যবহৃত সাইকেল ঐ দোকান থেকেই কেনা৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ