নিউ মার্কেটে বাংলাদেশিদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা, হেল্পলাইন নম্বর
কলকাতায় বাংলাদেশিদের পছন্দের জায়গা হলো নিউ মার্কেট এলাকা। সেখানে তাদের জন্য অভিযোগকেন্দ্র চালু হলো।
বাংলাদেশিদের পছন্দের জায়গা
নিউ মার্কেট এলাকা হলো বাংলাদেশিদের জন্য পছন্দের জায়গা। চিকিৎসার কারণে ও বেড়াতে প্রচুর বাংলাদেশি কলকাতায় আসেন। তাদের অনেকে নিউ মার্কেটের কাছের এলাকায় থাকেন। আর বাজার করতে তো তারা নিউ মার্কেটে যাবেনই।
হারিয়ে ফেলেন পাসপোর্ট, ডলার
বাংলাদেশ থেকে আসা অনেক মানুষই এখানে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেন, পকেট বা ব্যাগ থেকে ডলার পড়ে যায় রাস্তায়। তাই তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, একটা অভিযোগকেন্দ্র হওয়া উচিত। বাড়তি নিরাপত্তাও জরুরি। তাদের সেই দাবি মেনে এই ব্যবস্থাগুলিই নেয়া হয়েছে।
সিসিটিভি ক্যামেরা
বাড়তি সুরক্ষার জন্য আরো বেশি করে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে নিউমার্কেট এলাকায়। যাতে কোনো ঘটনা ঘটলে বা বাংলাদেশি নাগরিকরা কিছু হারিয়ে ফেললে তা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
২৪ ঘণ্টা নজরদারি
সিসিটিভি ফুটেজের উপর ২৪ ঘণ্টা ধরে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া এই ফুটেজ রেকর্ড করে রাখা হচ্ছে।
হেল্পলাইন নম্বর
বাংলাদেশি-সহ সব পর্যটকের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। যাতে কোনো অসুবিধা হলেই সঙ্গে সঙ্গে তারা জানাতে পারেন। ফোন এলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
পুলিশ প্রহরা বেড়েছে
নিউ মার্কেট এলাকায় পুলিশ প্রহরাও বেড়েছে। বিশেষ করে রাতের দিকে আরো বেশি করে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
মার্কুইস কল্যাণ সংঘ
এই পুরো উদ্য়োগটা নেয়ার পিছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে এনজিও মার্কুইস কল্যাণ সংঘ। এই সংগঠনের প্রধান মনোতোষ সরকার বলেছেন, ''এমনিতে এখানে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই। তাও গোটা এলাকায় নজরদারি বাড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। হেলপলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। যে কেউ অসুবিধায় পড়লে আমাদের অফিসে এসে তা জানাতে পারেন।''
কী সমস্যায় পড়েন বংলাদেশিরা?
মার্কুইস কল্যাণ সংঘের সঙ্গে যুক্ত জাফর খান জানিয়েছেন, ''বাংলাদেশি নাগরিকরা অনেকে ব্যাগ হারিয়ে ফেলেন, ফোন হরিয়ে ফেলেন। আমরা তা খুঁজে দেয়ার কাজে সাহায্য করি। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমরা তাদের চিন্তামুক্ত রাখতে চাই।''
শমি সুলতানার বক্তব্য
বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটক শামি সুলতানা জানিয়েছেন, ''আগে এত সুবিধা ছিল না। এখন সিসিটিভি ক্যামেরা, হেল্পলাইন নম্বর, অভিযোগকেন্দ্র সব হলো। আশা করা যায়, অনেক অসুবিধা দূর হবে।''
স্বস্তিতে শিল্পী বড়ুয়া
বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পী বড়ুয়াও স্বস্তিতে। তার মতে, ''এই সব ব্যবস্থা নেয়ার ফলে নিঃসন্দেহে পর্যটকদের অসুবিধা কমবে। তারা এই ব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারবেন।''
আনন্দিত ফয়সল
ফয়সল আলম খুবই খুশি। তিনি মনে করেন, ''এতে নারীদের নিরাপত্তা ৯৮ শতাংশ বেড়ে গেল। আগে রাতে বেরোতে একটু অস্বস্তি হত। এবার আর সেটা হবে না।''
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
সারা বছরই নিউ মার্কেট এলাকা থাকে ভিড়ে ঠাসা। তাই এই ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবয়াসী ও মানুষ।