পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিনে দুপুর ২টা পর্যন্ত আরও ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর রায়৷ এখন পর্যন্ত উদ্ধারকৃত লাশের সংখ্যা ৬৩৷
মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিনে দুপুর ২টা পর্যন্ত আরও ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর রায়৷ এখন পর্যন্ত উদ্ধারকৃত লাশের সংখ্যা ৬৩৷ এদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী এবং ২০ জন শিশু৷
নিখোঁজ
জেলা প্রশাসনের করা তালিকা অনুযায়ী, অন্তত ১২ জনের কোনো সন্ধান এখনও মেলেনি৷
লাশ হস্তান্তর
এ পর্যন্ত ৬২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ একজনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা হয়নি৷
উদ্ধার অভিযান
পঞ্চগড় এবং আশপাশের জেলার ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এ উদ্ধার অভিযনে অংশ নিচ্ছে৷ এছাড়া রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী থেকে আসা তিনটি দলে ৯ জন ডুবুরি অংশ নিচ্ছেন তল্লশিতে৷
দুর্ঘটনা
রোববার মহালয়া উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বোদা উপজেলার বরদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন৷ দুপুরের দিকে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় নৌকাটি উলটে যায়৷
সম্ভাব্য কারণ
দুর্ঘটনায় পড়া নৌকায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ওঠায় এবং মাঝ নদীতে নৌকাডুবির কারণে মৃত্যু এত বেশি হয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নৌকাটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিলেন৷ কিছু মানুষ সাঁতরে নদীর তীরে ফিরতে পারলেও অনেকে নিখোঁজ থাকেন৷
সম্ভাব্য অন্য কারণ
করতোয়া নদী থেকে অবাধে বালু ও পাথর উত্তোলন করা হয়৷ ফলে নদীর স্থানে স্থানে বেশ বড় ধরনের গর্ত রয়েছে৷ সেখানে লাশ পড়ে বালুর নিচে আটকে যেতে পারেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন৷
টানা বর্ষণে পানি বেড়ে গিয়েছিল
হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আসা করতোয়া নদী উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় এমনিতে খুব খরস্রোতা নয়৷ গভীরতাও খুব বেশি নয়৷ কিন্তু কয়েক দিনের টানা বর্ষণের পর উজানের ঢলে নদীতে পানি বেড়েছে অনেকটা৷