পবিত্র কোরান শেখাতে ‘শরিয়া ক্লাউন’
ইন্দোনেশিয়ার এক এতিমখানার শিশুরা এখন আর মন খারাপ করে বসে থাকে না বা হেলাফেলায় বেশি সময় নষ্ট করে না৷ কারণ, সং সেজে পবিত্র কোরান পড়াতে পড়াতে জীবনকে অন্য এক দৃষ্টিতে দেখাতে শেখাচ্ছেন এক শিক্ষক৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
‘শরিয়া ক্লাউন’
ইন্দোনেশিয়ার বানতেন প্রদেশের তানগেরান শহরের এক এতিমখানায় ইসলাম ধর্ম পড়ান ইয়াহিয়া এডওয়ার্ড হেন্দ্রাওয়ান৷ শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহী করতে, বিশেষ করে পবিত্র কোরান পাঠে উদ্বুদ্ধ করতে নিজেকে সাজিয়ে নেন পুরোদস্তুর ভাঁড়ের সাজে৷ নিজেকে শুধু শিক্ষক বলেন না ইয়াহিয়া, বরং ‘শরিয়া ক্লাউন’ বলতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷
বাবার ঘোর আপত্তি
স্থানীয়দের অনেকে তো বটেই, এমনকি নিজের বাবাও একটা সময় পর্যন্ত এভাবে সং সেজে পবিত্র কোরান পড়ানোকে মানতে পারেননি৷ ইয়াহিয়াকে প্রায়ই বলতেন, ‘‘তুমি আমার পরিবারের জন্য লজ্জা৷’’ এতিমখানা কর্তৃপক্ষের উৎসাহে তারপরও বাবা-মা-হারা শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে গেছেন ৩৮ বছর বয়সি শিক্ষক৷ দিন বদলেছে৷ এখন আর অত সমালোচনা শুনতে হয় না, বাধার মুখেও পড়তে হয় না তাকে৷
সঙ্গী মির্জা
এখন প্রতি সকালে নিজের ছেলে মির্জাকে সঙ্গে নিয়ে যান ইয়াহিয়া এডওয়ার্ড হেন্দ্রাওয়ান৷ দু’জন মিলে সং সাজেন৷ ঝাড়া এক ঘণ্টা ধরে চলে সাজ-পোশাকে ভাঁড় হয়ে ওঠার চেষ্টা৷
রোজায় আছে ‘বোনাস’
পবিত্র রমজান মাসে এতিম শিশুদের হাতে নানা ধরনের উপহারও তুলে দিচ্ছেন ইয়াহিয়া ও তার পাঁচ বছরের ছেলে মির্জা৷ উপহারের তালিকায় বইই থাকে বেশি৷
‘শরিয়া ক্লাউন’-এর প্রশংসা
এখন এতিমখানার বাইরের শিশুরাও যোগ দেয় ইয়াহিয়া এডওয়ার্ড হেন্দ্রাওয়ানের ক্লাসে৷ এক শিক্ষার্থীর বাবা জুনায়েদি শিক্ষক ইয়াহিয়ার প্রশংসা করতে গিয়ে বললেন, ‘‘তিনি (ইয়াহিয়া) বাচ্চাদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ তৈরি করে দিচ্ছেন, এর ফলে তাদের মোবাইল নিয়ে সময় কাটানোর প্রবণতা কমবে৷ পড়ার অভ্যাস শিশুদের বিকাশেও সহায়তা করবে৷’’