পবিত্র রমজান মাসে গাজার রাস্তায় জনপ্রিয় ফুটবল লিগ
রমজান মাস মুসলমানদের জন্য সিয়াম সাধনার মাস৷ গাজা উপত্যকার মানুষ এ মাসে কিছুটা সময় ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন৷ প্রতিবছর রমজান উপলক্ষে সেখানে আয়োজন করা হয় বিশেষ এক ফুটবল লিগ৷ প্রচুর দর্শক সমাগম হয় সেখানে৷ দেখুন ছবিঘরে...
শরণার্থীদের বিনোদন
প্রতি বছর গাজা উপত্যকার রাফাহ রিফিউজি ক্যাম্পের রাস্তায় আয়োজিত হয় এই ফুটবল লীগ৷ সর্বশেষ জনগণনা অনুযায়ী এই শরণার্থী শিবিরে বাস করেন কমপক্ষে ৯৯ হাজার শরণার্থী৷ মতান্তরে সংখ্যাটি বেড়ে এক লাখ ২০ হাজারে দাঁড়িয়েছে৷
জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা
বার্ষিক এই প্রতিযোগিতার নাম দেয়া হয়েছে রমাদান পপুলার লিগ৷ শুধু নামে নয়, এই লিগ বাস্তবেও খুব জনপ্রিয়৷ লিগের নিয়মিত দর্শক ইসা শালুলা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘প্রতি বছর রমজানের সময় আমরা এই লিগ দেখতে এখানে আসি৷ এ্ই লিগ দেখে আমরা খুব আনন্দ পাই৷’’
জনপ্রিয়তার কারণ
রমাদান পপুলার লিগের জনপ্রিয়তার কারণ জানতে চাইলে ৫০ বছর বয়সি ইসা শালুলা বলেন, ‘‘আসলে এই মাঠ অন্য অনেক মাঠের চেয়ে ভালো৷ তাছাড়া অন্য মাঠগুলো এখান (রাফা ক্যাম্প) থেকে অনেক দূরে, তাই সেখানে যাওয়াও যায় না৷’’
এক ফিলিস্তিন, দুই লিগ
রাফাহ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালে৷ গত ৭৪ বছরে অনেক প্রিয়জন হারাতে হয়েছে রাফা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের৷ অনেক দুঃখ-দুর্দশা সইতে হয়েছে তাদের৷ এমন জীবনেই আনন্দ আনে রমাদান পপুলার লিগ৷ আরেকটি লিগ হয় পশ্চিম তীরে৷ ২০০৭ সালের গৃহযুদ্ধের পর থেকে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহ শাসিত গাজা উপত্যকা আর হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন পশ্চিম তীরের মধ্যে যে ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছে, ফুটবলও তা ঘুচাতে পারেনি৷
আনন্দ বাধা মানে না
ফিলিস্তিনিদের দাবি, ইসরায়েলি সেনারা তাদের অবাধ চলাচলে বাধা দেয়৷ তাই বলে আনন্দ থেমে থাকে না৷ প্রাচুর্য নেই, নিরাপত্তা নেই, ফুটবল খেলায় গ্ল্যামার, কোটি টাকার হাতছানি কিছুই নেই, তারপরও আহমেদ এল-লুলাহি চুটিয়ে ফুটবল খেলেন খাদামাত রাফাহ ক্লাবের হয়ে৷ আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা খেলি দর্শকদের একটু আনন্দ দিতে৷ এই মাঠ অনেক স্টেডিয়ামের চেয়েও জনপ্রিয়৷ এটা শরণার্থীদের খেলার মাঠ৷ ছোটবেলা থেকেই আমরা এখানে খেলছি৷’’