পরিবেশ বাঁচাতে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে সামিল কলকাতা
গত ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকের ডাক দেয়া হয়েছিল। তাতে দাবি ছিল, ফসিল ফুয়েল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
সচেতন করতে
মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বজোড়া এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিল কলকাতাও। বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এতে অংশ নেন।
টিফিনের সময়
ক্লাস বাতিল করে নয়, পড়া বাদ দিয়ে নয়, স্কুলে টিফিনের সময় মধ্য কলকাতায় ছাত্রছাত্রীরা হাতে তুলে নেন পরিবেশ সচেতনতার প্ল্যাকার্ড, পোস্টার।
উদ্যোক্তা বিজ্ঞান মঞ্চ
এর উদ্যোক্তা ছিল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ ও তাদের বিভিন্ন শাখা। মানুষকে পরিবেশ ও বিশেষ করে পেট্রোল-ডিজেলের ব্যবহার বন্ধ করা ও গাছ লাগানোর বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়া হয়।
আগামী প্রজন্মের স্বার্থে
জানানো হয়, বিশ্ব এক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে। আমরা সচেতন না হলে ভাবী প্রজন্মকে চরম বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে হবে। আগামী প্রজন্মের স্বার্থে এখন থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে, এই সাধের পৃথিবীও আর বাঁচবে না।
হাতে হাত রেখে
স্কুলের পড়ুয়ারাও হাতে হাত রেখে এই বিশ্বকে বাঁচাবার অঙ্গিকার নিয়েছে। তাদের এই সচেতনতা খুবই জরুরি।
গাছ লাগান
এখন শুধু অন্য়ের, সরকারের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকার সময় চলে গেছে। পরিবেশ বাঁচাতে প্রতিটি মানুষকে উদ্যোগী হতে হবে। গাছ লাগাতে হবে। গাছ বাঁচাতে হবে। সেই বার্তাই ছিল এখানে।
উদ্যোক্তাদের বক্তব্য
কলকাতায় ক্লাইমেট স্ট্রাইকের উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মহাপাত্র বলেন, বিশ্বের তাপমাত্রা সমানে বাড়ছে। এটা বাড়তে থাকলে মানুষ আর এই বিশ্বে বসবাস করতে পারবে না। সেজন্যই সকলকে সচেতন করতে, সরকারকে তাদের প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিতে এই উদ্য়োগ।
চেষ্টা করতে হবে
আরেক উদ্য়োক্তা চৈতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উন্নত দেশগুলিকে বিশেষ করে কার্বনের মাত্রা কমাবার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন আর সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই। অবিলম্বে এই চেষ্টা জোরদার করতে হবে।
বিজ্ঞান কেন্দ্রের সচিব
হেদুয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের সচিব মাধবীলতা সাহা বলেছেন, ''আমরা আর একটাও গাছ কাটতে দেব না। প্রচুর গাছ লাগাব। পৃথিবী এখন ফুটন্ত। তার তাপমাত্রা কমাতেই হবে।''
পড়ুয়ারা সচেতন হলে
পড়ুয়ারা সচেতন হলে, ভাবী প্রজন্ম সচেতন হলে, এখন থেকেই উদ্য়োগী হলে এখনো আশা আছে। তাই কলকাতার ছাত্রছাত্রীদের এই উদ্যোগকে সাধুবদ জানিয়েছেন সকলে। শুধু একটাই বিষয়, একদিনের জন্য পথে নামাই যথেষ্ট নয়। কাজ করতে হবে। নিজেদের সীমিত সামর্থ্যে গাছ লাগাতে হবে। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সাইকেল ব্যবহার করতে হবে। ভাবতে হবে। ভাবাতে হবে।