ইউরোভিশন
২৬ মে ২০১২আজারি রাজধানী বাকু৷ সেখানে মানুষের মুখে, শহরের প্রতিটি দেওয়ালের পোস্টারে, বিলবোর্ডে, টেলিভিশনে বা রেডিওয়, সংবাদপত্রে শুধু একটাই কথা৷ ইউরোভিশন৷ এই যে ইউরোভিশন নিয়ে বিস্তর মাতামাতি, সে তো স্বাভাবিক ব্যাপার৷ কারণ, এতবড় একটা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, যাতে এতগুলো দেশের অংশগ্রহণ, তার দিকে তো মানুষের চোখ থাকবেই! বিজ্ঞাপনের আর ভোগবাদের এই সময়ে সেটা স্বাভাবিক বিষয়ও বটে!
কিন্তু প্রতিবাদও আছে৷ সেটা ফুরিয়ে যায়নি৷ শহরের পথেঘাটে প্রাক্তন সোভিয়েত রাশিয়ার এই দেশটিতে গণতন্ত্রের ঘাটতি বা বাকস্বাধীনতার অভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বেশ চোখে পড়ছে৷ প্রতিবাদকারীরা এই সময়টিকে বেছে নিয়েছে যখন গোটা বিশ্বের চোখ থাকবে আজারবাইজানের ওপর৷ বিশেষ করে রাজধানী বাকুতে আসবে গোটা ইউরোপ থেকে মানুষজন৷ আর এভাবেই তো প্রচার হয়৷ বোঝা যায়, মানবসমাজ আসলে মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী৷ আর ইউরোভিশন প্রতিযোগিতা হবে কিন্তু গণতন্ত্রের বা বাকস্বাধীনতার কথা বলে যে ইউরোপ, সেসবের জন্য দাবি উঠবে না, তা তো আর হতে পারে না!
ইউরোপের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে নিতে আজারবাইজানের কসুর কম নয় অবশ্যি! লন্ডন শহরের ১০০০ খানা ট্যাক্সি কিনে এনে সেগুলোকে শহরজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন৷ যাতে শহরের ‘লুক' টা বদলে গেছে কিছুটা৷ আর আজারবাইজানের নিজস্ব ট্যাক্সিগুলোর ওপর উজ্জ্বল বেগুনি রং চড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তৈরি করা হয়েছে একটা আলাদা পরিভাষা৷ শহরের মধ্যে একটা ইউরোপীয় ছোঁয়া এসেছে এসবের মাধ্যমে৷ আর এই সবকিছুই করা হয়েছে শুধুই ইউরোভিশনের জন্য৷
শনিবার শুরু হয়ে গেল ইউরোভিশন৷ প্রতিযোগিতা হাড্ডাহাড্ডি৷ সকলেই সমান দক্ষ৷ তাই এই প্রতিযোগিতার মজাটাও কম নয়৷ এখন দেখার বিষয়, কে কাকে পিছনে ফেলে এগোয়৷ আর কীভাবে এগোয়!
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (ডিপিএ, এএফপি)
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই