বন্যার ফলে পানীয় জল নেই দিল্লিতে
১৭ জুলাই ২০২৩সপ্তাহান্তে যমুনার জল খানিকটা নামলেও এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সোমবার সকালে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আপাতত জলস্তর ২০৫ দশমিক পাঁচ আট মিটারে আছে। বিকেলের পর তার আরো খানিকটা বাড়তে পারে। গত শুক্রবার জলস্তর ২০৮ মিটারের উপর উঠে গেছিল। সপ্তাহান্তে তা কিছুটা কমলেও ফের তা সোমবার থেকে বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে শুক্রবার থেকেই দিল্লিতে তীব্র জলের কষ্ট শুরু হয়েছে। ওয়াজিরাবাদের জল পরিশোধনের প্লান্ট বন্যার জন্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছিল। সোমবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, প্লান্টটি অনেকটাই ঠিক হয়েছে। সোমবার দুপুরের পর থেকে তা আবার ঠিকমতো কাজ করতে পারবে। এই প্লান্টে দিনে ১৩৪ মিলিয়ন গ্যালন জল পরিশোধন হয়। প্লান্টটি ঠিক হলে দিল্লির জলের কষ্ট অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, গত তিনদিন কোনো কোনো এলাকায় মিউনিসিপ্যালিটির জলের ট্যাঙ্কার নিয়ে গিয়ে পানীয় জল দিতে হয়েছে। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত সাপ্লাইয়ের জল আসেনি। সাধারণত যা সকালে এবং সন্ধ্যায় আসে।
দিল্লিতে বাঙালিদের এলাকা বলে পরিচিত চিত্তরঞ্জন পার্কে দুইদিন জল বন্ধ থাকার পর রোববার একবেলা কিছুক্ষণের জন্য জল এসেছে। সোমবার সকালে অবশ্য জল এসেছে।
বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যমুনা লাগোয়া অঞ্চলগুলির স্কুল-কলেজ আরো কিছুদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে যে অঞ্চলে জল নেই, সেখানে সোমবার স্কুল খুলেছে। কিন্তু বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ থাকার জন্য তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দিল্লি থেকে নয়ডা যাওয়ার রাস্তায় প্রবল যানজট বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলে এখনো ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেখানেও বন্যা হচ্ছে। হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবেও বন্যা পরিস্থিতি। এই অবস্থায় যমুনার জল আবার বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে রাজধানীর বন্যা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা এখনই বলতে পারছে না প্রশাসন।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)