বান্দরবন সীমান্তে ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত, র্যাব সদস্য আহত
১৫ নভেম্বর ২০২২নিহত কর্মকর্তার নাম রেজওয়ান আহমেদ। তিনি বিমান বাহিনীর একজন স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন। অন্যদিকে আহত পুলিশের সদস্য হলেন সোহেল বড়ুয়া (৩০)। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে হাসপাতালে্র একটি সুত্র।
সোমবার মধ্যরাতে আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "র্যাব ও ডিজিএফআই-এর মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে সোমবার (১৪ নভেম্বর) মাদক চোরাচালানকারি সন্ত্রাসিদের সাথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবন জেলার তমব্রু সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ হয়। মাদক চোরাচালানকারিদের সাথে এই সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারিদের গু লিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআই-এর এক কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমানীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন এবং র্যাবের একজন আহত হন।"
তবে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলাম খান সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই সংঘর্ষ ও কিভাবে নিহত-আহতদের সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সোমবার রাতে কোনারপাড়া শূন্যরেখায় এ ঘটনা ঘটে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
আহত র্যাব সদস্য সোহেল বড়ুয়া র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নে কর্মরত। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দিল মোহাম্মদ ভূট্টো এবং কোনারপাড়া শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা আরিফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
ভূট্টো বলেন, সন্ধ্যায় ঘুমধুমের কোনারপাড়া সীমান্তে র্যাবের সঙ্গে ‘কতিপয় দুষ্কৃতকারীর' মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে র্যাব সদস্যসহ কয়েকজন হতাহত হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি।
র্যাব কর্মকর্তা সোহেলকে রাত পৌনে ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখনও তার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।
তিনি বলেন, "পরে রাত ২টার দিকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়।"
একেএ/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)